ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 19th October 2024 07:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কিছু বাম এবং অতি বাম সংগঠনের লোকজন প্ররোচনা দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের আবেগকে বিপথে পরিচালিত করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা মেটানোর চেষ্টা করছে বলে শুক্রবারও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে সামনে এল জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (এনজিও) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মোট অর্থের পরিমাণ।
জানা যাচ্ছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রেজিস্টার অব অ্যাসিওরেন্সের দফতরে এনজিও’র রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। সংশ্লিষ্ট এনজিও-র নামে এইচডিএফসি’র কলকাতা হাইকোর্ট শাখায় যে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছে, সেখানে গত ১৬ অক্টোবরের ব্যালেন্স ছিল ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা!
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, "তদন্ত করছে সিবিআই, কোর্টের নজরদারিতে পুরো প্রক্রিয়া এগোচ্ছে, রাজ্য পরিকাঠামোগত সমাধান দ্রুততার সঙ্গে করছে। তবু পরিকল্পিতভাবে রাজ্য অশান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আন্দোলন জিইয়ে রাখা হচ্ছে।"
সেজন্য বাম, অতি বাম -সহ কিছু সংগঠন দেদার জুনিয়র ডাক্তারদের সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে দেদার টাকা ঢালছে বলেও অভিযোগ শাসকদলের। বস্তুত, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ব্যবসায়ীর সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ আগেই এনেছিলেন কুণাল।
যদিও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভানুধ্যায়ীরা টাকা পাঠাচ্ছেন, ওই টাকা থেকেই আন্দোলনের যাবতীয় অর্থ খরচ করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে রেজিস্ট্রেশন করা ওই এনজিও’র কাজকর্ম হিসেবে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির এবং রক্তদানের মতো নানা সমাজসেবা মূলক পদক্ষেপের উল্লেখ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানান, ইতিমধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকায় এই উদ্যোগ নেওয়াও হয়েছে।
তবে গোটা ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র দেখছে শাসকদল। এমনকী ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কেবি হস্টেলের ৩২ নম্বর রুমের উল্লেখ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তৃণমূলের।
এদিকে সোমবারের মধ্যে ১০ দফা দাবি পূরণ না করা হলে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য কী পদক্ষেপ করে সেদিকে তাকিয়ে সব মহল।