শেষ আপডেট: 15th April 2024 18:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পুরুলিয়া: প্রায় দেড়শো বছর আগে বসন্ত মহামারীর কবল থেকে বাঁচতে বাসন্তী পুজো শুরু করেছিলেন গ্রামবাসীরা । সেই থেকে আজও পুরনো আচার বিধি মেনে ভক্তি ও শ্রদ্ধায় এই পুজো করে আসছেন নদীয়াড়া গ্রামের মানুষ।
সোমবার সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত চলবে উৎসব। এই চারদিন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই উৎসবের চেহারা নিয়েছে গ্রাম। বাসন্তী পুজো দেখতে ভিনজেলা এবং ভিনরাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের ঠাসা ভিড় গ্রামে। পুজোর চারদিন গ্রামে খাওয়া হয় না কোনও আমিষ জাতীয় খাবার।
কথিত আছে, দেড়শো বছর আগে বসন্ত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের নদীয়াড়া-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে। পরের পর মৃত্যুতে আতঙ্কে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছিলেন বাসিন্দারা। সেই সময় দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এবং এক সন্ন্যাসীর পরামর্শে নদীয়াড়া গ্রামের মাঝ বরাবর বাসন্তী পুজোর আরাধনা শুরু করেন গ্রামবাসীরা। দেবীর আরাধনার পর রোগমুক্ত হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। যাঁরা চলে গিয়েছিলেন ধীরে ধীরে তাঁরাও গ্রামে ফিরে আসেন। আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন গ্রামবাসীরা।
সেই সময় থেকে এখনও পুরনো আচার বিধি মেনে বাসন্তী পুজোর আয়োজন করে আসছেন গ্রামবাসীরা। এই পুজো দেখতে ভিনজেলা তো বটেই ভিনরাজ্য থেকেও বহু পুণ্যার্থী এবং দর্শনার্থী ভিড় জমান পুজোর চারদিন। আলাদা উৎসবের চেহারা নেয় গোটা গ্রাম। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, শুদ্ধ মনে বাসন্তীদেবীর আরাধনা করলে ইচ্ছা পূরণ হয় মানুষের। বাসন্তী পুজোর চারদিন অর্থাৎ সপ্তমী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত চলে যাত্রা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। পুজোর চারদিন গ্রামে কোনওরকম আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ থাকে। প্রতি বছরের মতো এবছরও ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দেবী আরাধনায় মেতে উঠেছেন নদীয়াড়া গ্রাম সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ।