শেষ আপডেট: 8th March 2025 11:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি গুণগত মানের পরীক্ষায় দেশে ফেল করেছে ৩৯৩টি ওষুধ (medicines)। এর মধ্যে ১৩৬টি ওষুধ বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ (State Drug Control Department)।
গুণগত মানের পরীক্ষায় কোন কোন ওষুধ ফেল করেছে তা রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল এবং ওষুধ দোকানে টাঙানোর নির্দেশও দিয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, নির্দেশে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলি ব্যবহারের অযোগ্য, 'নট ফর স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি ড্রাগস'।
জানা যাচ্ছে, গুণগত মানের নিরিখে বাতিল হওয়া ওষুধগুলির মধ্যে মাত্র ২টির গুণগত মান ঠিক নেই বলে জানিয়েছিল রাজ্যের ল্যাব এবং কেন্দ্রের ল্যাবে ৬৪টি ওষুধ ফেল করে। স্বভাবতই, রাজ্যের ল্যাবের পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
রোগ হলে যেমন রোগ সারাতে ওষুধের প্রয়োজন হয়, তেমনই ওষুধের মধ্যে রোগ রয়েছে কিনা, এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে ল্যাবে ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়। শহরবাসীর মতে, ওষুধও ভেজাল। তাহলে খাব কী? কীভাবেই বা বুঝবেন ওষুধটি ভেজাল কিনা? কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের দাবি, এজন্য তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়াও নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। তারই ভিত্তিতে তিন দফায় ৩৯৩টি ওষুধকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কী নেই এই ওষুধের তালিকায়? জানা যাচ্ছে, প্রেসারের ওষুধ থেকে প্যারাসিটামল, নার্ভ থেকে হার্টের অসুখের ওষুধ, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রতিরোধ থেকে সাধারণ স্যালাইন, খিঁচুনি কমানোর ওষুধ, ভিটামিন সি এর ঘাটতি থেকে খাদ্যনালীর সমস্যা সংক্রান্ত চিকিৎসা, পক্সের টিকা, প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক সবই রয়েছে এই তালিকায়। এমনকী ব্যথা কমানো, লিভারের অসুখ, স্ত্রীরোগে ব্যবহৃত হওয়া ওষুধও রয়েছে এই তালিকায়।
প্রসঙ্গত বছরের শুরুতেই স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি বর্ধমান মেডিক্যালেও স্যালাইন দেওয়ার পর সাত প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারই মধ্যে ওষুধ সংক্রান্ত রিপোর্ট ঘিরে জনমানসে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।