শেষ আপডেট: 13th August 2024 16:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরে ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার কী তাহলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে?
এককথায় এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর জানা যায়নি। বরং আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়া ও চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে আদালতের রায়কে 'স্বাগত' জানিয়ে বলছেন, "আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিলাম। পুরো রায় না দেখে এখনই কিছু বলা যাবে না। "
কেন একথাা বলছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, "সিবিআই তদন্ত মানেই তো সমস্যার সুরাহা হয়ে গেল তা নয়। আমাদের রাজ্যে এর আগেও বহু মামলায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী কালে সেগুলির কী অবস্থা তা তো আমরা সকলেই জানি!"
আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়াদের কথায়, এমনিতেই ঘটনার পর পাচদিন অতিক্রান্ত। তাঁরা মনে করছেন, এর ফলে এমনিতেই অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। সেকারণেই আদালতের হস্তক্ষেপে তাঁরা সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে মামলার দ্রুত অগ্রগতি হত বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার নিহক ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রবিবারের মধ্যে পুলিশ কিনারা করতে না পারলে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেব। একই সঙ্গে এও বলেছিলেন, "সিবিআইয়ের সাকসেস রেট ভাল নয়। অতীতে ওরা বাংলার একাধিক মামলার তদন্ত করেছে, যার একাধিক তদন্ত মাঝপথে থমকে রয়েছে।"
এদিন আদালতের রায় সামনে আসার পর আন্দোলনকারীরা বলছেন, কারও একার পক্ষে এতবড় নৃশংস ঘটনা যে ঘটানো সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট। পুলিশ এবং মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের কাউকে কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। প্রকৃত সত্য সামনে এনে দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অর্থাৎ এখনই আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন না আন্দোলনকারীরা। বরং সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখবেন তাঁরা। যদিও এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফেও আন্দোলনকারীদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।