ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 14 March 2025 08:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েক বছরের মতো এ বারও নন্দীগ্রামে (Nandigram) ‘শহিদ দিবস’ পালন ঘিরে তরজায় জড়াল তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP)।
জমিরক্ষা আন্দোলন পর্বে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে গুলিতে প্রাণ হারান ১৪ জন গ্রামবাসী। অভিযোগ ওঠে, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর গুলি চালিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রাজ্যের পালাবদলে সিঙ্গুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনও বড় ভূমিকা ছিল।
সেই থেকে ফি-বছরই ১৪ মার্চ গোকুলনগরে ‘শহিদ তর্পণ’ কর্মসূচি পালন করে আসছে তৃণমূল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর থেকেই ‘শহিদ’ স্মরণকে ঘিরে ফি-বারই তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে তরজা পরম্পরা দেখা যায়। এবারও তার অন্যথা হল না।
শুক্রবাবর সকালে গোকুলনগরে গিয়ে শহিদ স্মরণ করেন শুভেন্দু। তার কিছু পরেই সেখানে গিয়ে বিজেপির লাগানো কালো পতাকা খুলে দিয়ে গঙ্গা জল দিয়ে শহিদ বেদী ধুয়ে নতুন করে শহিদ স্মরণ করেন তৃণমূলের জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা।
শাসককে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, "নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সুফল ভোগ করছে শাসকদল। অথচ শহিদের পরিবারগুলো আজও যোগ্য সম্মান পেল না।" পাল্টা হিসেবে শুভেন্দুকে আক্রমণ করে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, "নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় কোথায় ছিল বিজেপি? এলাকার মানুষ জানেন, কারা সেদিন নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে ছিল।"
দু'তরফের কর্মসূচি এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঘিরে এবারেও রাজনৈতিক উত্তেজনার সাক্ষী থাকলেন বাসিন্দারা।