শেষ আপডেট: 19th September 2024 22:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে কাজে ফিরতে পারেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ৪১ দিন পর উঠতে পারে ধর্না অবস্থান। সূত্রের খবর, নবান্নর তরফে অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ায় ধর্না প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত আর কিছু পরেই ঘোষণা করতে পারেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে সিবিআই দফতর পর্যন্ত মিছিল করার পর ধর্না প্রত্যাহার করা হবে। সিজিওতে সিবিআই দফতরের সামনে দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হবে। এরপর শনিবার থেকে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের কাজে যোগ দেবেন তাঁরা। তবে এখনই পুরোপুরি কাজে নাও ফিরতে পারেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, শনিবার থেকেব জরুরি পরিষেবার কাজে যোগ দেবেন তাঁরা। যদিও আন্দোলনকারীদের তরফে এবিষয়ে অফিসিয়ালি ঘোষণা এখনও করা হয়নি।
সোমবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছিল। ডাক্তারদের দেবে মেনে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে কর্মবিরতি তোলার কথা থাকলেও তোলেননি ডাক্তাররা। বরং প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টাস্ক ফোর্স গঠন , সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাকি বিষয়গুলি পূরণের দাবিতে বুধবার সকালে ফের নবান্নে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি মেনে বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
সবমিলিয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টার আলোচনা শেষেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বুধবার। নবান্ন থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভস্থলে ফিরে যান জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখানে তাঁরা অভিযোগ করেন, বৈঠকে কিছু দাবি মানা হলেও কোনও 'মিনিটস' দেওয়া হয়নি। তাই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরার প্রশ্ন নেই।
এরপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নর তরফে মুখ্যসচিব রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুরক্ষায় দশ দফা পয়েন্ট উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ পাঠান। সেখানে নিরাপত্তা, সুরক্ষা-সহ আন্দোলনকারীদের সব দাবি কার্যত দ্রুত পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এরপরই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন আন্দোলরত চিকিৎসকরা। তবে এখনই পুরোপুরি কাজে নাও ফিরতে পারেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবার কাজে যোগ দেবেন তাঁরা।