চলছে পুলিশ-বিএসএফ টহল।
শেষ আপডেট: 14th April 2025 07:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: থমথমে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। প্রশাসনের দাবি, রবিবার বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি 'নিয়ন্ত্রণে'। তবে উত্তেজনা থাকায় ধুলিয়ান, সুতি, শমসেরগঞ্জের মতো এলাকায় পুলিশ ও বিএসএফের টহল চলছে।
ভুয়ো ছবি বা গুজবে কান না দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে বারে বারে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুজবের সম্ভাবনা রুখতে রবিবার সন্ধে থেকে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি সংলগ্ন বীরভূম ও মালদহের একাংশেও নেট পরিষেবা বন্ধ করেছে প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ-সহ তিনটি জেলার সংশ্লিষ্ট অংশে নেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হলেও ফোনে কথা বলা যাবে এবং এসএমএস পাঠানো যাবে। সংবাদপত্রও পৌঁছবে ওইসব এলাকায়।
এদিকে পরিস্থিতির পর্যালোচনায় রবিবার সন্ধেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাতে এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বোস নিজেই একথা জানান। একই সঙ্গে বাংলায় তাঁকে বলতে শোনা যায়. "বাংলায় অশান্তি চলবে না, চলবে না।" এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন যে বদ্ধ পরিকর, তাও জানান রাজ্যপাল।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের (Waqf Amendment Act) প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সুতি, শমসেরগঞ্জের একাংশে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের ওপর হামলার পাশাপাশি রেলের সম্পত্তিতেও যথেচ্ছ লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অশান্তিতে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রামে গ্রামে বাহিনীর সঙ্গে ঘুরেছে পুলিশও।
বিএসএফ সূত্রে খবর, মোট ১৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে মুর্শিদাবাদে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তারপরই অভিযান আরও তীব্রতর করা হয়।
তল্লাশি অভিযানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। সোমবার সকালেও একাধিক জায়গায় রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে রুট মার্চ করছে। বিএসএফের আইজি এলাকা পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, পুলিশ যদি মনে করে নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে বিএসএফ মোতায়েন থাকবে, তাহলে থাকবে। পরিষ্কার করে এও জানিয়ে দেন যতদিন পুলিশ চাইবে তত দিনই বাহিনী থাকবে এলাকায় এলাকায়। পুলিশকেও সব রকম ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।