শেষ আপডেট: 14th March 2025 15:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম নেননি কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তবে যা বলেছেন, তাতে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, 'চ্যাংদোলা' বিতর্কে বিজেপি কি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে?
ঘটনার সূত্রপাত, গত মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল, ''এরা (তৃণমূল) বাংলার হিন্দু জনগণকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। এই ঔদ্ধত্য দিল্লিতে কেজরিওয়াল করেছিল বলে ওখানকার মানুষ আপকে উপড়ে ফেলেছে। আগামী বছর বাংলাতেও তাই হবে। ওদের দলের যে সব মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে তাদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব!''
২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের কোপে পড়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর হুমায়ুনকে শো-কজ করা হয়েছে তাঁর 'মারতে এলে রসগোল্লা খাওয়াবো নাকি? ঠুসে দেব! দলের থেকে আমার কমিউনিটি আগে!' মন্তব্যের জন্য। এই নিয়ে চার মাসে দু'বার দলের শোকজের মুখে পড়েছেন হুমায়ুন।
ওই প্রসঙ্গেই বিতর্ক উস্কে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, "এটাই তৃণমূল। অন্যায় করলে নেতাদেরও রেয়াত করা হয় না।" পদ্ম শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কুণাল এও বলেন, "বিজেপিকে কখনও এমন ব্যবস্থা নিতে দেখিনি।"
সেই সূত্রেই সামনে এসেছে, শুভেন্দু অধিকারীর করা 'চ্যাংদোলা' মন্তব্য নিয়ে দল কি কোনও পদক্ষেপ করবে?
জবাবে রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ব্যাখ্যা, "আমি পুরো বিষয়টা জানি না। শুভেন্দুদার সঙ্গে কথা বলি, কোন প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেছেন, সেটা জানার পরে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারব।"
মঙ্গলবার শাসকদলের মুসলিম বিধায়কদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার সময়ই অবশ্য শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, "তৃণমূল যে ধরনের নোংরা রাজনীতি করে তার জন্য এটাই সঠিক!"