শেষ আপডেট: 12th July 2024 14:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আপাতত তিনি জেলবন্দি! তবে তাঁর দাপট এতটাই যে জেলবন্দি এই 'ডন' সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে আড়িয়াদহের মৌসুমী মোড়ের বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার দেখে নিচ্ছিলেন, আশেপাশে কেউ আছেন কিনা! আতঙ্কে নিজেদের নামও বলতে চাননি। কুখ্য়াত জয়ন্ত সিংয়ের দাপটের বহর কেমন, শুক্রবার তা চাক্ষুষ করলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও।
কামারহাটির তালতলা ক্লাবে তালিবানি কায়দায় অত্যাচারের যে ভিডিও (দ্য ওয়াল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)) সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, শুক্রবার ধৃত জয়ন্ত সিংকে সঙ্গে নিয়ে সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে ওই ক্লাবে যান তদন্তকারীরা। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ জয়ন্তকে ক্লাব থেকে বের করার সময় তাকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে থাকা জয়ন্ত রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের।
পুলিশের সামনেই জয়ন্তর এহেন ঔদ্ধত্য আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। অনেকের মতে, পুলিশের হেফাজতে থেকেই যদি এমন রণংদেহি মেজাজ হয়, তাহলে বাইরে থাকাকালীন কী কী করতেন জয়ন্ত!
শুধু ধাক্কা দেওয়াই নয়, পুলিশের গাড়িতে ওঠার পরও সাংবাদিকদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্নও ছুড়ে দেন। মেজাজের সুরে জয়ন্ত বলেন, "এত প্রশ্ন করছেন কেন? যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে কি আমাকে দেখা গেছে?"
আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই সামনে আসে জয়ন্ত সিংয়ের কীর্তির সাতকাহন। অভিযোগ, শাসকদলের আর্শীবাদেই এলাকায় দাপট জয়ন্ত ও তাঁর শাগরেদদের। চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে। তারপরই কামারহাটির তালতলা ক্লাবে তালিবানি কায়দায় অত্যাচার-সহ একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়।
প্রসঙ্গত, জয়ন্ত গ্রেফতার হওয়ার পরই দমদমের সাংসদ সৌগত রায় এবং কামারাহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর কাছে এসেছে হুমকি ফোন। অবিলম্বে তাঁকে জেল থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা না করা হলে গুলি করে মারার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, জয়ন্তর মাথায় এমন কার আর্শীবাদ রয়েছে, যে কারণে পুলিশি হেফাজতেও তার এমন ঔদ্ধত্য?