Advertisement
ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী।
Advertisement
শেষ আপডেট: 4 March 2025 12:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) শনিবারের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Education Minister Bratya Basu) পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে বাম ও ডানপন্থী একাধিক ছাত্র সংগঠন। তবে ছাত্র সংগঠনের এমন দাবির সঙ্গে সহমত নন জখম ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা অমিত রায়।
ইন্দ্রানুজের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে মঙ্গলবার সকালে অমিত রায়কে ফোন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অমিতবাবু বলেন, "সেদিনের ঘটনার জন্য টেলিফোনে দুঃখপ্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক তিনি চাননি। ঘটনায় তিনি নিজেও মর্মাহত।"
শীঘ্রই ইন্দ্রানুজের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও অমিতবাবুকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই সূত্রেই ইন্দ্রানুজের বাবা বলেন, "যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত ঠিকই, তবে এর জন্য আমি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চাই না।"
বস্তুত, ইন্দ্রানুজের পরিবারের সঙ্গে যে তিনি দেখা করবেন, রবিবার দ্য ওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন ব্রাত্য। সূত্রের খবর, এদিন সকালে শিক্ষামন্ত্রী ফোন করেন অমিতবাবুকে। ইন্দ্রানুজ রায় বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন কেপিসি হাসপাতালে। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন ব্রাত্য। গোটা ঘটনায় তিনি এবং তাঁর স্ত্রীও মর্মাহত বলেও অমিতবাবুকে জানান। এমনকী শীঘ্রই ইন্দ্রানুজের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে অমিতবাবুকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত শনিবার যাদবপুরে নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন চলছিল, সে সময়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর গাড়ির চাকার তলায় চাপা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। তবে সরকারের তরফে পাল্টা অভিযোগ, ব্রাত্য বসুকে ঘিরে ফেলে রীতিমতো আক্রমণ চালানো হয় তাঁর উপর।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির রেশ দেখা গিয়েছে রাজ্যের একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। এসএফআই, এবিভিপির মতো ছাত্র সংগঠনের তরফে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও করা হচ্ছে। তবে ইন্দ্রানুজের বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ওটা একটি অনভিপ্রেত ঘটনা। এর জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন না।
Advertisement
Advertisement