শেষ আপডেট: 13th June 2024 15:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিংসা ঠেকাতে এবারের লোকসভা ভোটে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ঠেকাতে উপদ্রুত এলাকায় আরও ১৫ দিন বাহিনী রাখার কথা আগেই জানিয়েছিল কমিশন। বাহিনী চলে যাওয়ার পর হিংসার ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, "বাহিনী থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় মারধর, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বাহিনী চলে যাওয়ার পর দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে কর্মী, সমর্থকদের। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।"
ভোট মিটে যাওয়ায় এখন আর কমিশনের কোনও ভূমিকা নেই। সূত্রের খবর, উপদ্রুত এলাকা থেকে বাহিনী এখনই না সরানোর জন্য এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আর্জি জানাতে পারে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব।
দলের রাজ্য সভার সাংসদ তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "প্রতিদিনই কোনও না কোনও এলাকা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ আসছে। রাজ্য পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরস্ত, বহু ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ফোর্সকে মিসগাইডও করা হচ্ছে। মানুষের নিরাপত্তার জন্য উপদ্রুত এলাকায় আরও কিছুদিন বাহিনী রাখার দাবি জানানো হবে।"
এদিকে গরমের ছুটির পর ১০ জুন থেকে খুলেছে স্কুল। পঠনপাঠনের সমস্যা যাতে না হয়, তাই বাহিনীকে বিকল্প জায়গায় অর্থাৎ স্কুলের পরিবর্তে অডিটোরিয়াম বা এই জাতীয় কোনও জায়গায় স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হাইকোর্টেও দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। ১৮ জুন পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা। উপদ্রুত এলাকায় বাহিনী আরও কিছুদিন রাখার জন্য ওই দিন ফের আদালতেও আর্জি জানানো হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
শুভেন্দুর কথায়, "বাহিনীর চোখে ধুলো দিতে এবারে সন্ত্রাসের ধরন বদলেছে তৃণমূল। মারধর, ভাঙচুরের চেয়েও বেশি করে হচ্ছে বয়কট, জরিমানা। কারও ইলেকট্রিক লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে, কাউকে নিজের দোকান খুলতে দেওয়া হচ্ছে না।"
এব্যাপারে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সাফ কথা, "কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে কোনও অশান্তি ঘটলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেটা জনসমক্ষেও আসছে। বহু ক্ষেত্রে বিজেপির হাতে তৃণমূলের কর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। আসলে মানুষের সমর্থন নেই, তাই অভিযোগ দিয়ে নিজেদের লজ্জার মুখ ঢাকার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা।"