দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Mandir) কাণ্ডে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বিজেপি (BJP) যে 'টোটাল বয়কটে'র পথে হাঁটতে চলেছে, সবার আগে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল দ্য ওয়ালে।

বাস্তবে হলও তাই। মঙ্গলবার থেকে সল্টলেকের অফিসে শুরু হয়েছে বিজেপির রাজ্যস্তরের বৈঠক। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পল, সৌমিত্র খাঁদের পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতারা থাকলেও দেখা মিলল না বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

সূত্রের খবর, রাজ্যস্তরের এই বৈঠকে ডাকই পাননি দিলীপ। পরিবর্তে সোমবারই কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামে চলে যান তিনি। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। রাতে ছিলেন খড়গপুরে। সকালে চা চক্রেও যোগ দেন ঘোষবাবু। সেখানেই মিডিয়াকে তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গোপীবল্লভপুরে গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন তিনি।

দিলীপের স্ত্রী রিঙ্কুদেবী দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। বিয়ের পর এই প্রথম নববধূকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন দিলীপ। সেই সূত্রে বিকেলে বাইকে করে স্ত্রীকে গ্রাম ঘুরিয়ে দেখানোর ইচ্ছা রয়েছে বলেও সকালের চা চক্রে জানিয়েছিলেন দিলীপ। যা থেকে স্পষ্ট, আপাতত ছুটির মেজাজে রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

অন্যদিকে সল্টলেকে বিজেপির বৈঠকে বঙ্গ নেতাদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। তবে দিলীপের অনুপস্থিতি বা বৈঠকে তাঁকে না ডাকা নিয়ে সুনীল বনশল থেকে শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পলরা কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। 

এর আগে 'দিলীপকে যোগী থেকে ভোগী' বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন তিনি বলেন, "দলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি, কে কে ডাক পেয়েছেন, কে পেলেন না, সেটা আমি কী করে বলব, পার্টির মুখপাত্র বলতে পারবেন।" একই সঙ্গে এও বলেন, "আমিও অনেক সময় ভুল করেছি, ভুল শুধরেও নিয়েছি। রাজনীতি বহমান নদী. যে টিকে থাকতে পারবে সে থাকবে!" 

দলের বৈঠকে ডাক না পাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ অবশ্য আগেই নিজের মতও স্পষ্ট করেছেন। বলেছেন, "৩ বছরে ক'বার দলের বৈঠকে ডাক পেয়েছি? আমি তো নিজের মতো করে কর্মসূচি করি, বছরভর মানুষের পাশে থাকি।"