শেষ আপডেট: 17th January 2024 19:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বর্ধমান: চর্চায় এখন অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন। বিতর্ক থাকলেও দেশের বেশির ভাগ মানুষই এখন রাম মন্দির নিয়ে মাতোয়ারা। সেই সঙ্গে বাড়ছে 'ভগবত গীতা'র বিক্রিও। পূর্ব বর্ধমানের বইমেলা থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। প্রকাশকরা দাবি করছেন, বর্ধমান বইমেলায় অন্য বইয়ের চাইতে 'শ্রীমদ্ভগবত গীতা’ বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
গত ১১ তারিখ এই বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। সেদিন মন্ত্রী বলেছিলেন, “বই বিবেককে খুলে দেয়। তাই বই আমাদের সম্পদ''।
এক প্রকাশনা সংস্থার প্রতিনিধি বিজয় সাহা বলেন, ''পুরুলিয়ার চাইতেও পূর্ব বর্ধমানের বই মেলায় বই কম বিক্রি হয়। তবে জেলার বই মেলায় এবার তুলনামূলকভাবে 'গীতা’র চাহিদা ছিল সব চেয়ে বেশি। বাকি অন্যান্য বইয়ের বিক্রি তেমন নেই বললেই চলে।''
বই মেলায় 'ইসকন’ পাবলিকেশনও এবার স্টল দিয়েছিল। সেখানের প্রতিনিধি বলেন, ''এখন মানুষের 'গীতা' পাঠের আগ্রহ বেশ বেড়েছে। আমাদের স্টল থেকেও 'গীতা’ ভালই বিক্রি হয়েছে।''
প্রকাশকদের দাবি, শুধু গীতাই নয়, গল্পের বই বা উপন্যাসের চাইতে বেশি আগ্রহ ছিল রামায়ণ ও মহাভারত কেনার ব্যাপারে।
বইমেলায় 'গীতা’র বিক্রি বেড়েছে জেনে খুশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) কার্যকর্তারা। সংঘের জেলা কার্যকর্তা শান্তি মাল বলেন, '' বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অশান্ত পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রেক্ষাপটে শান্তি পেতে 'গীতা’ পাঠ যে খুবই জরুরি, সেটা বাংলার মানুষ ভালভাবেই উপলব্ধি করেছেন।''
এবিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক আলোক মাঝি গীতা ছাড়া অন্য বই কম বিক্রি হওয়ার দাবি মানতে চাননি। তাঁর মতে, ''এটা মিথ্যাচার।'' তাঁর সাফাই, সব হিন্দু বাড়িতেই গীতা, রামায়ণ, মহাভারত থাকে। আমার বাড়িতেও আছে। যাঁদের নেই, তাঁরা তা বইমেলা থেকে গীতা কিনে নেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।''