ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরজি কর থেকে শুরু করে কালীগঞ্জ, সম্প্রতি কসবা কলেজের মতো একের পর এক ঘটনায় যথেষ্টই চাপে রয়েছে শাসক দল।
রাজন্যা হালদার
শেষ আপডেট: 4 July 2025 13:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা কলেজে (Kasba Law College) গণধর্ষণ-কাণ্ডের পর একের পর এক 'গা-সওয়া' অভিযোগ উঠে আসছে প্রকাশ্যে। তার উপর এবার দলের অন্দরে আরও অস্বতি বাড়িয়েছেন একদা টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার (Rajanya Halder)। তাঁর অভিযোগ, ল কলেজে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের (Manojit Mishra) বিরুদ্ধে এই ধরণের আচরণের ইতিহাস রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই নোংরামির সাক্ষী থেকেছেন বহুজন।
রাজন্যার কথায়, এখন কিছু জানতাম না, বুঝতাম না বললে সেটা ভুল হবে। বরং নিজেরাই কোথাও না কোথাও 'দাদা'দের এই সংস্কৃতিকে মদত দিয়েছি। যার জেরে আজকের এই ভয়াবহ চিত্র দেখতে হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মনোজিৎ তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও নিজেই ছড়িয়ে দেয়। সেই ঘটনাই অভিযুক্তের বিকৃত মানসিকতার প্রমাণ।
ব্যক্তিগতভাবে মনোজিতের সঙ্গে রাজন্যার খুব একটা ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চে মুখচেনা সম্পর্ক ছিল। প্রান্তিকের (রাজন্যার স্বামী) সূত্রে একাধিকবার দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁদের।
প্রাক্তন এই টিএমসিপি নেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, “আমি যদি টুকরো টুকরোভাবে এত কিছু জানতে পারি, যারা বহু বছর ধরে সংগঠনের শীর্ষে রয়েছে, তারা জানত না?” তাঁর মতে, এক ধরনের 'দাদা সংস্কৃতি' গড়ে উঠেছে, যেখানে কিছু পুরুষ নেতার প্রভাব এতটাই বেশি যে তারা মেয়েদের সম্মান নিয়ে খেলতে দ্বিধা করে না।
রাজন্যার দাবি, এই 'দাদা'রা পদ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মেয়েদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে, যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। তাঁর কথায়, “এই আধিপত্যবাদী মানসিকতার অবসান হওয়া উচিত। এখন যদি না হয়, তাহলে আর কবে?”
রাজন্যার আরও বড় অভিযোগ, তাঁরই একটি এআই দিয়ে তৈরি করা অশ্লীল ছবি, তৃণমূলেরই 'দাদা'দের একাংশ জুনিয়রদের ফোনে ফোনে ছড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজন্যা স্পষ্ট জানিয়েছেন, “এই দাদাদের কোনও দল হতে পারে না। তবুও বলছি, ওরা তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে এসব করছে।”
ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরজি কর থেকে শুরু করে কালীগঞ্জ, সম্প্রতি কসবা কলেজের মতো একের পর এক ঘটনায় যথেষ্টই চাপে রয়েছে শাসক দল। যদিও রাজন্যার এহেন অভিযোগ নিয়ে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তোলা হলে পাত্তাই দেননি মেয়র ফিরহাদ হাকিম।