কলেজের মধ্যেই এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। তাঁরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে এনেছে আরজি কর হাসপাতালের ন্যক্কারজনক স্মৃতি।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 30 June 2025 17:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা ল কলেজে (Kasba Law College) গণধর্ষণের ঘটনার ছ'দিনের মাথায় কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার (State Govt)। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সাত দফা নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। এই নির্দেশ দ্রুত কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
গত ২৬ জুন কলেজের মধ্যেই এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার (Woman Assault) অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। তাঁরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা (TMCP)। এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে এনেছে আরজি কর হাসপাতালের ন্যক্কারজনক স্মৃতি। ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে এবং চাপ বাড়ছে শাসক দল এবং সরকারের ওপর। সেই প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
কলেজ কর্তৃপক্ষকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে — ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত তথা অস্থায়ী কর্মী ‘এম’কে বহিষ্কার করতে হবে। একইসঙ্গে আরও দুই অভিযুক্ত পড়ুয়া ‘জে’ এবং ‘পি’-কে কলেজ থেকে বরখাস্ত করতে হবে। পাশাপাশি কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে অবিলম্বে।
আরও বলা হয়েছে, কলেজের নিরাপত্তায় নিযুক্ত সংস্থাকে শো-কজ করতে হবে। এছাড়াও কলেজ ক্যাম্পাস ফাঁকা রাখা, সিসিটিভি ব্যবস্থা জোরদার করা সহ একাধিক পরামর্শও দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।
সাত দফা নির্দেশ সংক্ষেপে
১. মূল অভিযুক্ত অস্থায়ী কর্মী ‘এম’-কে বহিষ্কার করতে হবে।
২. প্রথম বর্ষের দুই অভিযুক্ত ছাত্র ‘জে’ ও ‘পি’কে বরখাস্ত করতে হবে।
৩. প্রাক্তন ছাত্র বা বহিরাগত কেউ কলেজ চত্বরে প্রবেশ করতে পারবে না।
৪. নিরাপত্তা সংস্থাকে শো-কজ করতে হবে। তাদের গাফিলতির ব্যাখ্যা চাইতে হবে।
৫. কলেজের ‘ইন্টারনাল কমপ্লেন্ট কমিটি’ বা বিশাখা কমিটিকে বৈঠক ডাকতে হবে।
৬. অফিস সময়ের পর কলেজ চত্বর ফাঁকা রাখতে হবে।
৭. সিসিটিভি পর্যাপ্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়াতে হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
সরকারি সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবারই কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এই সাত দফা নির্দেশ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার জেরে কলেজ চত্বরে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, যে কোনও সময় প্রাক্তন বা বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত থাকত। এমন পরিস্থিতিতে, এই সাত দফা কার্যকর হলে কলেজে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ দুইই জোরদার হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।