পুলিশ এমন দাবি করায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, তদন্তে কি প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে? মূল অভিযুক্তের পরিচিতি নিয়ে যেভাবে গুঞ্জন চলছে, তা কি এ বার পরোক্ষে মেনে নিল পুলিশও?
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 2 July 2025 13:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা আইন কলেজে (Kasba Law College) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তিন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা (TMCP Leader)। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সিট ইতিমধ্যে তদন্ত করছে এবং তদন্তে সামিল হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগও। এদিকে মূল অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিশ চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। বলা হয়েছে, সে প্রভাবশালী, তার যেন জামিন না হয়।
মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে দাখিল করা রিমান্ড লেটারে পুলিশের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, মূল অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর জামিন মঞ্জুর হলে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া বিপন্ন হতে পারে। এমনকী, সাক্ষীদের ভয় দেখানো, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পুলিশ এমন দাবি করায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, তদন্তে কি প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে? মূল অভিযুক্তের পরিচিতি নিয়ে যেভাবে গুঞ্জন চলছে, তা কি এ বার পরোক্ষে মেনে নিল পুলিশও? ইতিমধ্যেই কসবা কাণ্ডে অভিযুক্তর ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়েছে। তাতে দেখা গেছে তার 'জেঠু'কে।
ভাইরাল ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একটি কলেজ অনুষ্ঠানে কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ শাসকদলের একজন নেতাকে ‘জেঠু’ বলে সম্বোধন করছে। আর সেই নেতাই দক্ষিণ কলকাতা ল’ কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট ও তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ছাত্র তাঁর হাত ধরে ‘জেঠু’ বলে ডেকে উঠে যাচ্ছেন, আর অশোক দেব তাঁকে একরকম আশ্বাসের ভঙ্গিতে চেপে ধরে রাখছেন।
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক অশোক দেব। তাঁর সাফাই, “ছেলেটিকে চিনতাম, কারণ সে কলেজে পড়ত। সেটা ছাড়া আমার কোনও ঘনিষ্ঠতা নেই। চেনা দু’রকমের হয়—একটা এমনি চেনা, আরেকটা খুব ভাল করে চেনা। ও ছিল আগেরটা।”
মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মূলত গণধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। তবে গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। গণধর্ষণের পাশাপাশি এবার অপহরণ এবং অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ধারাও সংযোজন করা হয়েছে।