চলতি মাসেই আমদাবাদে ২৪১ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। একজন বাদে সকলেই প্রাণ হারান। ফলে এদিনের ঘটনায় যাত্রী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 30 June 2025 06:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের বড়সড় বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন শতাধিক যাত্রী। টোকিও থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি আন্তর্জাতিক বিমান, এআই ৩৫৭-এ মাঝ আকাশে দেখা দিল যান্ত্রিক ত্রুটি। দ্রুত সতর্কতা অবলম্বন করে রবিবার বিকেল ৩টে ৩৩ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটির।
সূত্রের খবর, বিমানের ককপিট থেকেই প্রথমে প্রযুক্তিগত সমস্যার সংকেত মেলে। পাইলট সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (ATC) সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। বিমানটিতে তখন ২৪১ জন যাত্রী ও কেবিন ক্রু সদস্য ছিলেন। অনুমতি পেয়ে, কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি পরিষেবাগুলি চালু করে তৎপর হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অবশেষে নিরাপদে নামানো যায় বিমানটিকে।
চলতি মাসেই আমদাবাদে ২৪১ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। একজন বাদে সকলেই প্রাণ হারান। ফলে এদিনের ঘটনায় যাত্রী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করে।
অনেকেই বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এই ধরণের প্রযুক্তিগত ত্রুটি নতুন নয়। কিছুদিন আগেই মুম্বইগামী একটি বিমানে মাঝপথে সমস্যা দেখা দেওয়ায় কলকাতায় জরুরি অবতরণ করানো হয়েছিল। সেই বিমানটি একটানা ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে ছিল কলকাতা বিমানবন্দরে।
এত ঘনঘন যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার রক্ষণাবেক্ষণ নীতি নিয়েও। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রুটে চলা বিমানগুলিতে পরপর এমন প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। অনেকেই মনে করছেন, সময় এসেছে কঠোর পর্যালোচনার। যাত্রীদের নিরাপত্তা যেন কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে কড়া নজর দেওয়ার দাবিও উঠছে।