এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মূলত গণধর্ষণের অভিযোগ তো রয়েছেই, এবার আরও কয়েকটি ধারা যোগ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 2 July 2025 10:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবার আইন কলেজে (Kasba Law College) ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার তদন্তে নামছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (Kolkata Police Detective Department)। বুধবার দুপুরে কসবা থানার থেকে মামলার কেস ডায়েরি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয় লালবাজারে (Lalbazar)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মূলত গণধর্ষণের অভিযোগ তো রয়েছেই, এবার আরও কয়েকটি ধারা যোগ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। প্রথমে পাঁচ সদস্যের দল তৈরি হলেও পরে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৯ করা হয়। তবে মামলার গুরুত্ব ও জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় এবার সরাসরি গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তদন্তভার তুলে দিল কলকাতা পুলিশ।
সূত্রের খবর, মামলায় নতুন করে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। গণধর্ষণের পাশাপাশি এবার অপহরণ এবং অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ধারাও সংযোজন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার জবানবন্দি ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী দল। গোয়েন্দা বিভাগ এই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে তদন্তের গতিপথ নির্ধারণ করবে।
ঘটনাটি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট — দুই জায়গাতেই মামলা চলছে। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মামলা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবিতে একাধিক জনস্বার্থ মামলার আবেদন জমা পড়েছে।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আইনের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর উপর যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য গোটা রাজ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ জুন রাতে, কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসে ২৭ জুন। ওইদিনই মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, জেইব আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। পরে কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
কলেজ চত্বরের ভিতরে এই ঘটনা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দফতর কলেজ কর্তৃপক্ষকে সাত দফা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, যাতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা পর্যন্ত একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।