তাঁদের দাবি, সর্বভারতীয় মূল্যসূচকের নিরিখে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিনের এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায় সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 4 July 2025 10:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা (DA) মেটানোর দাবিতে শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) কর্মবিরতিতে (Pendown) পালন করলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তা মেনে অবিলম্বে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
শীর্ষ আদালত গত ১৬ মে নির্দেশ দিয়েছিল, ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে ২৭ জুন। কিন্তু কর্মীদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত একটি টাকাও হাতে পাননি তাঁরা। এরপরই নতুন করে প্রতিবাদীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাশাপাশি শনিবার কলকাতা হাইকোর্টেও কর্মবিরতি পালন হল।
এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল রাজ্য কোষাগার থেকে বেতন প্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারি-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী যৌথ মঞ্চ। তাঁদের দাবি, সর্বভারতীয় মূল্যসূচকের নিরিখে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিনের এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায় সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও (Bikash Ranjan Bhattacharya)।
প্রসঙ্গত, সময়সীমা পেরানোর আগেই সুপ্রিমকোর্টে রাজ্যর আর্জি ছিল, বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য আরও ছ'মাস সময় দেওয়া হোক। রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়বে। তাদের দাবি, প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার দায়ভার বর্তাবে রাজ্যের উপর। একাংশ কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ ডিএ মেটাতে গেলেও ১০ হাজার কোটির বেশি অর্থের প্রয়োজন, যা ২০২৫-২৬ বাজেটে ধরা হয়নি। ফলে ঋণ ছাড়া উপায় নেই, আর কেন্দ্রীয় অনুমতি ছাড়া সে ঋণ নেওয়া সম্ভব নয়।
রাজ্যের যুক্তি, ডিএ কোনও মৌলিক অধিকার নয়, বরং তা 'ঐচ্ছিক'। কেন্দ্রের হারে ডিএ দেওয়ারও কোনও দায় নেই রাজ্যের, কারণ কেন্দ্র-রাজ্যের আর্থিক কাঠামো এক নয়। রাজ্য ‘রোপা ২০০৯’ অনুযায়ী নিজস্ব নিয়মে ডিএ দেয়।
যদিও সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাল্টা যুক্তি, ডিএ যে আইন স্বীকৃত সেটা সুপ্রিম কোর্ট মেনে নিয়েছে। তবে ডিএ সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার কিনা সেটা পরবর্তী শুনানিতে আদালত জানাতে পারে। তাই ৪ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য অপেক্ষা করছে তাঁরা।