শেষ আপডেট: 23rd January 2024 20:48
অমল সরকার, অযোধ্যা
রামলালার প্রতিবেশী যে তিনি! গত কয়েকদিন ধরে সাচ্চা প্রতিবেশীরই কর্তব্য পালন করে চলেছেন নুর আলম। আর তাতেই তৃপ্ত পঞ্চাশোর্ধ এই মানুষটি। নাওয়া খাওয়া ভুলে দিন রাত এক করে ভাণ্ডারা চালাচ্ছেন অযোধ্যায় আসা তীর্থযাত্রীদের জন্য। বেলায় বেলায় তাঁরই জমিতে বড় বড় উনুনে রান্না হচ্ছে খিচুড়ি-পুরি-সবজি। রামলালাকে দর্শন করতে আসা মানুষদের ক্ষুন্নিবৃত্তির দায়িত্ব অনেকাংশেই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন নুর আলম।
সোমবার অযোধ্যায় উদ্বোধন হয়েছে রামমন্দিরের। প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। ৬৩ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে এই রামমন্দির। মন্দিরের জমির সীমানা পাঁচিল ঘেঁসেই নুর আলমের জমি। সেখানেই তাঁর কাঠ চেরাইয়ের কারখানা। কারবার শিকেয় তুলে আপাতত একমাসের জন্য নিজের জমি দিয়ে দিয়েছেন ভাণ্ডারা করতে। জমির একপাশে নিজের উদ্যোগে তৈরি করেছেন অস্থায়ী শৌচাগারও।
মন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই সারা দেশের ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। ভক্তদের খাবারের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে একাধিক ভাণ্ডারা। রামলালার মন্দিরের ঢোকার মূল ফটকের বাইরেই নুর আলমের জমিতেও চলছে এমনই ভাণ্ডারা। দিল্লির বিজেপি বিধায়ক অমর পাল সিংয়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন নুর আলম। তিনি বলেন, “মন্দিরের জমির লাগোয়া আমার জমি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমি তো রামলালারই পড়শি। কাজেই আমাকে তো পড়শির কাজ করতেই হবে। তাই আমার কারখানা আপাতত বন্ধ রেখেছি। কারখানার জমিতে চলছে ভাণ্ডারা।”
আপাতত একমাস কারখানা বন্ধ রেখে ভাণ্ডারা চালাবেন বলে জানালেন নুর আলম। দিল্লির বিধায়ক অমর পাল সিং জানান, ভক্তদের জন্যই তাঁদের আয়োজন। রামলালা দর্শনে আসা ভক্তরা যাতে খিদেতে কষ্ট না পান তার জন্য আগামী একমাস ভাণ্ডারা চালু রাখবেন তাঁরা।