শেষ আপডেট: 8th January 2025 19:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজ্ঞানের চমকপ্রদ গবেষণায় উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। প্লাসটিক বোতলজাত জলের প্রতিটি চুমুকে গলা ভিজলেও শরীরে প্রবেশ করছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের মতো ক্ষতিকর কণা। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এক লিটার প্লাসটিক বোতলজাত জলে গড়ে ২.৪ লক্ষ মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ন্যানোপ্লাস্টিক রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিলেন, প্লাস্টিকের বোতলের জলে মাইক্রোপ্লাস্টিক রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে আরও ভয়াবহ তথ্য—বোতলের জল পান করলে সেই ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণাগুলি সরাসরি রক্তপ্রবাহে মিশে যায়। শরীরে প্রবেশ করা এই কণা বিষের সমান!
কী এই মাইক্রোপ্লাস্টিক?
মাইক্রোপ্লাস্টিক হল প্লাস্টিকের অতিক্ষুদ্র কণা, যা ৫ মিমি বা তার কম আকারের। ন্যানোপ্লাস্টিক আরও ক্ষুদ্র, যা এক মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট। এগুলি মাটির গভীর স্তর থেকে শুরু করে মেরু অঞ্চলের বরফেও পাওয়া যায়।
কী বলছে গবেষণা?
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলির প্লাসটিক বোতলের জল পরীক্ষা করে দেখেছেন। প্রতিটি বোতলে ১.১ থেকে ৩.৭ লক্ষ ন্যানোপ্লাস্টিক রয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই মাইক্রোপ্লাস্টিক। গবেষণা বলছে, এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের থেকেও সূক্ষ্ম ন্যানোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে বোতলের জলে। এদের দৈর্ঘ্য ১ থেকে ৫০০০ মাইক্রোমিটারের মতো। মানুষের মাথার চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম। প্লাস্টিকের বোতলের জলে এই সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের কণাগুলিই মিশে থাকে।
প্লাস্টিক কণা কোথা থেকে আসে?
গবেষকরা মনে করছেন, বোতলের প্রক্রিয়াকরণের সময় এই ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা জলে মিশে যায়। তবে প্লাস্টিকের প্রকৃতি এবং এর উৎস সম্পর্কে এখনও গবেষণা চলছে।
স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব পড়ছে?
বিজ্ঞানীদের মতে, মাইক্রো ও ন্যানোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে কীভাবে এবং কতটা ক্ষতি হতে পারে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।