শেষ আপডেট: 21st October 2024 14:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো পাড়ি দিতে চলেছে শুক্রে। শুক্র গ্রহকে ঘিরে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বরাবরই খুব বেশি। শুক্র গ্রহের আবহাওয়ামণ্ডল পৃথিবীর থেকে ১০০ গুণ বেশি ঘন। গ্রহজুড়ে শুধুই অ্যাসিডের আস্তরণ। তারই মধ্যে প্রাণের সন্ধানে ব্যাস্ত বিজ্ঞানীরা। আশঙ্কা, যে ভাবে বাড়ছে দূষণ, তাতে অদূর ভবিষ্যতেও এমন দশা হতে পারে পৃথিবীর।
শুক্রকে ঠিক ভাবে নিরীক্ষণ করলে আরও ভালভাবে বোঝা যাবে বিষয়টি, এমনটাই জানাচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই ইসরোর এই মিশনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মিশনের হিরো 'অ্যারো ব্রেকিং টেকনিক'। এই প্রযুক্তির উপর ভরসা রেখেই গোটা মিশন চালানো হবে।
শুক্রকেই কেন বেছে নেওয়া হল?
শুক্র গ্রহের আকার প্রায় পৃথিবীরই সমান। শুক্র গ্রহের ব্যাস ৭ হাজার ৫২১ মাইল (১২ হাজার ১০৪ কিলোমিটার) অন্যদিকে পৃথিবীর ব্যাস ৭ হাজার ৯২৬ মাইল (১২ হাজার ৭৫৬ কিলোমিটার)। পৃথিবী থেকে শুক্রের দূরত্ব প্রায় ৪০ মিলিয়ন কিলোমিটার।
এটি পৃথিবীর নিকটতম গ্রহগুলির মধ্যে রয়েছে। শুক্র সৌরজগতের এমন একটি গ্রহ, যা দেখতে হুবহু পৃথিবীর মতোই। তবে ভর এবং ঘনত্বের দিক থেকে এটি সম্পূর্ণ অভিন্ন। তাপমাত্রা এবং অন্যান্য বিষয়ে উভয়ের মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, শুক্রের তাপমাত্রা প্রায় ৪৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধের চেয়েও বেশি। শুক্রের বায়ুমণ্ডলেও প্রায় ৯৬ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে। ফলে শুক্রে পরীক্ষা নিরীক্ষ চালানো তুলনামূলকভাবে সহজ। এই সব কিছুর জন্য কাজে লাগানো হবে 'অ্যারো ব্রেকিং টেকনিক'। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তার জন্যই শুক্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হবে।
কী অ্যারো ব্রেকিং প্রযুক্তি ও কবে চালু হবে?
অ্যারো ব্রেকিং প্রযুক্তি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সেই গ্রহের কক্ষপথে থাকা বায়ুমণ্ডলের সাহায্যে একটি মহাকাশযানের গতি কমানো হয়। এতে জ্বালানী সাশ্রয় করা সম্ভব। ইসরোর শুক্র মিশনে প্রথমবারের মতো অ্যারো ব্রেকিং কৌশল ব্যবহার করা হবে। এর আগে কোনও মহাকাশযানে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়নি। এই যান ২০২৮ সালের মার্চ মাসে লঞ্চ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।