শেষ আপডেট: 28th September 2024 18:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আন্টার্কটিকার 'আইস শিট' বা 'তুষারের চাদর' আবৃত এলাকা ধীরে ধীরে গলতে শুরু করেছে। এসব এলাকা একঝলকে দেখলে মনে হবে একদম শান্ত, স্থিতিশীল। এর বুঝি কোনও পরিবর্তনই নেই। কিন্তু সত্যিটা কঠিন। ভিতরে ভিতরে ক্রমশ ক্ষয় হচ্ছে এই তুষার আবরণের।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং অর্থাৎ বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে আন্টার্কটিকা এই পুরু বরফের আস্তরণের উপরেও। তাই দ্রুত গলে যাচ্ছে বরফ। এই ঘটনাই চিন্তায় ফেলেছে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে ক্রমশ গলে যাচ্ছে পৃথিবীর উত্তর মেরুর বরফ।
বিজ্ঞানীদের মতে, দ্রুত বরফ গলে যাওয়ায় পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তার পাশাপাশি সমুদ্রের উচ্চতাও ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার অনুসারে, অ্যান্টার্কটিকায় ১৯.১ লক্ষ বর্গকিলোমিটার গলে গিয়েছে। এটি একটি নতুন রেকর্ড। এর আগে পরিমানটা এত বেশি ছিল না।
বিজ্ঞানীদের মতে, বরফ গলে যাওয়ার আক্ষরিক অর্থ হল মেরু অঞ্চলেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কখনই কাম্য নয়। সর্বোপরি এর প্রভাবে মারাত্মক ভাবে পরিবেশের অবক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চিন্তিত পরিবেশবিদরা।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আন্টার্কটিকায় একদিনে ২০ লাখ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বরফ গলেছে। তাই এর থেকে ভয়াবহ পরিবেশের জন্য আর কিছু হতে পারে না। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আন্টার্কটিকার পুরু বরফের আস্তরণ যে ভিতরে ভিতরে ক্ষয় হচ্ছে। ফলে বরফ গলছে। তার প্রভাবে ওই সমস্ত বরফগলা জলের মাধ্যমে হিডেন বা লুক্কায়িত লেক বা হ্রদ তৈরি হচ্ছে বরফের আস্তরণের নীচের অংশে।
বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন, এই সব লেক তৈরি হওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আইস শিটের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, এই সমস্ত সাবগ্লেসিয়াল হ্রদগুলি একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে ভেসে যেতে পারে একাধিক দেশ।