শেষ আপডেট: 12th December 2024 19:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জলবায়ু পরিবর্তনের জের। কিছু বছরের মধ্যেই বরফশূন্য হয়ে যেতে পারে আর্কটিক মহাসাগর। এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে দেখছেন, ২০৩০ সালে আর্কটিক সমুদ্রের বিশাল অংশের বরফ গলে যাবে। অর্থাৎ হাতে আর ১০ বছরও নেই। নেচার কমিউনিকেশনস-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত গবেষণায় গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আগামী দুই দশকের মধ্যে এই ‘গ্রহের জন্য অশুভ মাইলফলক’ অনিবার্য। তাঁদের মতে, শীতকালেও আর বরফ দেখতে পাওয়া যাবে না আর্কটিকে বা সুমেরুতে। নতুন গবেষণায় এটাই উঠে এসেছে আরও অনেক নতুন তথ্য।
আর্কটিক অঞ্চলে মাত্র ৪ মিলিয়ন মানুষ বাস করে। তবে, এখানে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে তার প্রভাব শুধুমাত্র আর্কটিকে পড়বে, এমনটা নয়। আর্কটিকে ঘটা পরিবর্তনগুলি পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করবে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের মতে, উপকূলীয় বন্যা বাড়ছে, কারণ আর্কটিক গ্লেসিয়ার এবং গ্রীনল্যান্ডের বরফ গলে সমুদ্রের দিকে চলে যাচ্ছে। আর্কটিকের বন্যার কারণে ছড়িয়ে পড়া তাপ-ধারণকারী গ্যাস দ্রুত বাতাসে মিশে যাচ্ছে। তারপরে তো শিল্প কারখানার গ্যাস রয়েইছে। সব মিলিয়ে পৃথিবী আরও গরম হয়ে উঠছে। অস্বাভাবিক এবং চরম আবহাওয়া, খাদ্য সরবরাহের উপর চাপ এবং বন্যা ও সেখান থেকে নির্গত ধোঁয়ার কারণে বাড়তে থাকা গরমের কারণে আর্কটিকের বরফ দ্রুত গতিতে গলছে।
২০২৪ সালের আর্কটিক রিপোর্ট কার্ডে, যা ১০ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়, ১১টি দেশের ৯৭ জন বিজ্ঞানীকে একত্রিত করা হয়েছিল। তাঁরা বন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে বন্যা, বরফ থেকে শুরু করে তুষার পাতের অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁরা আর্কটিকের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এই পরিবর্তনের ফল পৃথিবীজুড়ে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর উপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে রিপোর্ট করেছেন। তাতেই উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্য। সেই থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।