শেষ আপডেট: 4th November 2024 21:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পৃথিবীতে থাকাকালীন মানুষ দিনে মাত্র একবার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পায়। তবে মহাকাশে থাকা নভোচারীদের কাছে কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই একরকম নয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন অর্থাৎ আইএসএস-এ থাকা মহাকাশচারীরা দিনে ১৬ বার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পারেন। এমনটাই মহাকাশে থেকে জানালেন সুনীতা উইলিয়ামস।
স্পেস স্টেশনে ৫ মাস ধরে আটকে থাকা সুনীতা উইলিয়ামস প্রতিদিন ১৬ বার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখেন। কিন্তু, এটা কীভাবে সম্ভব? ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস চলতি বছরের ৬ জুন থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন।
এবার স্পেস স্টেশনেই দীপবলি উদযাপন করলেন এই নভোচারী। দীপাবলির দু'দিন আগে, মার্কিন রাষ্ট্রপতির বাসভবনে দিওয়ালি উদযাপন করা হয়েছিল এবং এই সময়, সুনিতা উইলিয়ামসের একটি ভিডিওও চালানো হয়। সেখানে তিনি দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই সময় আমেরিকার সার্জন জেনারেল ডাঃ বিবেক মূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে, সুনিতা উইলিয়ামস প্রতিদিন ১৬ বার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখেন।
দিনে ১৬বার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত কেমন করে হয়?
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন প্রায় ২৬০ মাইল অর্থাৎ পৃথিবী থেকে প্রায় ৪১৮ কিলোমিটার উপরে রয়েছে। সারাক্ষণ পৃথিবীর চারপাশে প্রায় ১৭৫০০ মাইল প্রতি ঘণ্টা অর্থাৎ ২৮১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঘুরতে থাকে। এর গতি সেকেন্ডে ৫ মাইল অর্থাৎ ৮ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে।
মহাকাশ স্টেশনের গতি অনুমান করলে বোঝা যায় যে, এটি মাত্র ৯০ মিনিটে পৃথিবীর চারপাশে একবার ঘুরে ফেলে। ফলে মহাকাশ স্টেশনটি একদিনে ১৬বার পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। এই কারণে, মহাকাশ স্টেশনে বসবাসকারী নভোচারীরা একদিনে ১৬বার সূর্যোদয় এবং ১৬বার সূর্যাস্ত দেখতে পান।
পাঁচ মাস ধরে মহাকাশ স্টেশনে আটকে আছেন সুনীতা উইলিয়ামস। তিনি ৪ জুন বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে মহাকাশে গিয়েছিলেন এবং ২৫ ঘন্টা পরে সেখানে পৌঁছেছিলেন। এই মিশনের জন্য তাঁকে ৮ দিন মহাকাশ স্টেশনে থাকতে হয়েছিল। নানা ধরনের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৩ জুন তার পৃথিবীতে ফেরার কথা থাকলেও মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে গত ৫ মাস ধরে সেখানে আটকে রয়েছেন তিনি।