শেষ আপডেট: 21st October 2024 19:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পৃথিবীতে যে পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি সঞ্চিত রয়েছে, তা আর কতদিন চলবে? বিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমানে পৃথিবীতে যা জীবাশ্ম জ্বালানি আছে, তা দিয়ে সর্বোচ্চ আরো ১০০ বছর চলবে। তবে মাটি খুঁড়ে জীবাশ্ম জ্বালানি খোঁজার দিন কি শেষ হয়ে আসছে? কারণ সমুদ্রের জলের মাধ্যমেই পাওয়া যাবে জ্বালানি!
বিজ্ঞানীদের মতে, এই মুহূর্তে পৃথিবীতে থাকা সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে মানুষকে নির্ভর করতে হবে প্রকৃতির ওপর। সবুজ জ্বালানিই হবে আগামীদিনের ভরসা। তার জন্য নির্ভর করতে হবে জল, বায়ু আর সূর্যের উপর। তবে তার জন্য সুদূর ভবিষ্যতের প্রয়োজন নেই। এই প্রক্রিয়ায় এখনই একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন নরওয়ে এবং সুইৎজারল্যান্ড বিজ্ঞানীরা।
পরিবেশ থেকে অতিরিক্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড সরিয়ে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে সমুদ্রের জলের মাধ্যমে কার্বন-ডাই অক্সাইড ও সবুজ মিথানল উৎপাদন করে তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। এই বিজ্ঞানীরা জ্বালানি সমস্যা মেটাতে সৌর মিথানল দ্বীপ গড়ে তুলেছেন।
কেমন এই দ্বীপ?
বিজ্ঞানীদের মতে, ছোট দ্বীপের সমান আয়তনের এক একটি ১০০ মিটারের ব্যাসার্ধের। এতে প্রায় ৭০টি প্যানেল নিয়ে একটি সৌর মিথানল দ্বীপ গড়ে তোলা হবে। পুরোটাই তৈরি করা হবে সমুদ্রের উপর, যা সূর্যের আলো দিয়ে বিশেষ কিছু প্রক্রিয়া ও সরঞ্জামের মাধ্যমে এই জ্বালানি উৎপাদন করবে।
কীভাবে সৌর প্যানেলগুলির থেকে গ্রিন মিথানল বা জ্বালানি তৈরি হবে?
এই প্রোজেক্ট সামুদ্রিক অঞ্চলেই গড়ে তোলা সম্ভব। বিজ্ঞানীদের মতে, এই জ্বালানি উৎপাদনে যে পরিমাণ জায়গা, সৌরশক্তি ও জলের প্রয়োজন, তা একমাত্র সামুদ্রিক অঞ্চলেই পাওয়া সম্ভব। ফলে তাঁরা ইন্দোনেশিয়া, উত্তর অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের সামুদ্রিক অঞ্চলগুলিকে উপযুক্ত বলে মনে করেছেন। এর জন্য প্যানেলগুলি একটা মেমব্রেনের উপর সূর্যের দিকে মুখ করে বসানো হবে। তারপরে সূর্যের আলো ও তাপ থেকেই তৈরি করা হবে ২৪ মেগাওয়াটের শক্তি।
তবে সমুদ্রের জল থেকে লবণ আলাদা করতে হবে। লবনমুক্ত করার পর হাইড্রোলিসিসের মাধ্যমে সেই জলের হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনকে আলাদা করা হবে। বর্তমানে পুরো ব্যাপারটাই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। আগামী দিনে এই প্রোজেক্ট কতটা কার্যকরী হবে, এখন সেটাই দেখার।