শেষ আপডেট: 30th July 2024 19:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পৃথিবী ছাড়া প্রাণের অস্বস্তি অন্য গ্রহেও রয়েছে এই বিশ্বাস অনেকেই করেন। মঙ্গল গ্রহ নিয়ে তো বিস্তর গবেষণা চলছে। তবে বিজ্ঞানীদের নজরে শুধু মঙ্গলই আছে, এমনটা নয়। শুক্র গ্রহ নিয়েও তাঁরা গবেষণা চালাচ্ছেন কয়েক বছর ধরে। আর সেই গবেষণা থেকেই এল আশার আলো।
চার বছর আগে একবার এই দাবি করা হয়েছিল যে, শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্বস্তি থাকতে পারে। কারণ তার মেঘে ফসফাইন গ্যাসের হদিশ মিলেছিল। সেই সময়ে এই গবেষণা যারা করেছিলেন তারাই এখন নতুন তথ্য নিয়ে আবার এক রিপোর্ট পেশ করেছেন।
তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহের মেঘ আর কুয়াশার মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণ ফসফাইন গ্যাস রয়েছে। তার পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয় যে, ওই গ্রহে প্রাণের সঞ্চার রয়েছে।
গবেষকরা গত ১৭ জুলাই এই বিষয়ের একটি রিপোর্ট ইংল্যান্ডের হালের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটিতে জমা দিয়েছেন। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চার বছর আগে যে তথ্য সংগ্রেহ করা হয়েছিল তার থেকে ১৪০ গুণ তথ্য এখন সংগ্রহ করতে পেরেছেন তাঁরা। ফসফাইন গ্যাস ছাড়া শুক্রে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সম্ভার আছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
অনেকটা একই রকম দেখতে বলে শুক্র গ্রহকে অনেক সময়ই পৃথিবীর যমজ শত্রু বলা হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, শুধু পৃথিবীর মতো দেখতেই নয়, পৃথিবীর মতো অনেক গুণই আছে এই গ্রহের। আসলে ফসফাইন গঠিত হয় ফসফরাস এবং হাইড্রোজেনের সংমিশ্রণের ফলে। এই দুই যৌগ অক্সিজেন সহযোগী পরিবেশও তৈরি করতে সক্ষম। তাই সেখান প্রাণের হদিশ পাওয়া খুব অবাক করার মতো বিষয় হবে না।
শনি গ্রহেও ফসফাইন, অ্যামোনিয়ার আধিক্য দেখা যায়। তাহলে সেখানে কেন প্রাণ থাকতে পারে না? বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, শনি হচ্ছে গ্যাস জায়ান্ট! ওই গ্রহের আশেপাশে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেন রয়েছে। তাই ওই গ্যাসের কম্পাউন্ড একাধিক গ্যাস সেখানে থাকতেই পারে। কিন্তু শুক্র গ্রহে এই দুই গ্যাস থাকা অবাক করার মতো বিষয়।
ফসফাইন এবং অ্যামোনিয়াকে বায়োমেকার হিসেবে ধরা হয়। শুক্রের মতো গ্রহে তাদের অস্বস্তি পাওয়া কার্যত সম্ভব ছিল না। কিন্তু সেখানে এগুলির খোঁজ পাওয়া মানে ওই গ্রহে কিছু ভিন্ন ঘটছে, যা সত্যিই তাজ্জব করে।