শেষ আপডেট: 31st January 2025 13:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রায় চার দশক পর ফের মহাকাশে পা রাখতে চলেছেন এক ভারতীয়। ১৯৮৪ সালে উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মার ঐতিহাসিক যাত্রার পর এবার মহাকাশ অভিযানে যাচ্ছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনি অ্যাক্সিয়ম-৪ (Ax-4) মিশনের অংশ হিসেবে মহাকাশযাত্রা করবেন। এটি একটি বেসরকারি মহাকাশ অভিযান, যা স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানের সঙ্গে যুক্ত। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হবে।
শুধু ৪০ বছরের ব্যবধানই নয়, রাকেশ শর্মার সঙ্গে শুভাংশু শুক্লার আরও একটি মিল রয়েছে। ভারতের গগনযান অভিযানের জন্য ইসরো তাঁকে মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচন করেছে। এই মিশনের জন্য ইসরো, নাসা ও অ্যাক্সিয়ম স্পেস যৌথভাবে কাজ করছে। Ax-4 অভিযানে শুভাংশু শুক্লা পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরও তিন মহাকাশচারী—অভিজ্ঞ মার্কিন মহাকাশচারী ও মিশন কমান্ডার পেগি হুইটসন, পোল্যান্ডের স্লাওসুজ উজনানস্কি-উইসনিয়েভস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু।
এই মিশনের জন্য সম্প্রতি অ্যাক্সিয়ম স্পেস বিশেষ ‘স্পেস প্যাচ’ প্রকাশ করেছে, যা মহাকাশচারীদের স্পেস স্যুটে থাকবে। এতে চারটি উর্ধ্বমুখী রেখা রয়েছে, যা অংশগ্রহণকারী দেশগুলির পতাকার প্রতীক। এছাড়া, তিনটি বিভাগ রয়েছে, যা তিন মহাদেশের যৌথ প্রচেষ্টাকে বোঝায়। সেই সঙ্গে সাতটি তারা চিহ্ন দেওয়া হয়েছে, যা পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের প্রতীক।
Ax-4 মিশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনও ইসরো মহাকাশচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) পা রাখবেন। একইসঙ্গে, এই অভিযানে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মহাকাশচারীরাও প্রথমবারের মতো ISS-এ যাবেন, যা সেই সব দেশগুলির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে থাকবে। মিশন সম্পর্কে শুভাংশু শুক্লা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, 'মহাকাশে যাওয়ার জন্য আমি ভীষণ উত্তেজিত। মিশনের জন্য প্রতিটি ধাপ এগিয়ে চলেছে। মনে হচ্ছে, সবকিছু একত্রিত হয়ে আসছে।'
বেসরকারি মহাকাশ অভিযান পরিচালনায় অ্যাক্সিয়ম স্পেস দ্রুত তাদের পরিসর বাড়িয়ে চলেছে। ২০২২ সালে প্রথম Ax-1 মিশনে চার সদস্যের এক দল ১৭ দিন ISS-এ কাটিয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালের মে মাসে Ax-2 মিশন আট দিন কক্ষপথে ছিল, যেখানে নেতৃত্বে ছিলেন পেগি হুইটসন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে Ax-3 মিশনে অংশগ্রহণকারীরা ISS-এ ১৮ দিন কাটিয়েছেন। Ax-4 মিশন সফল হলে, এটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।