শেষ আপডেট: 17th October 2024 18:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনন্তকাল ধরে এই পৃথিবীতে এলিয়েনদের নিয়ে প্রচুর জল্পনা ও চর্চা চলে আসছে। গল্প, সিনেমার কিছুই বাদ যায়নি। তবে এত কিছুর পরেও তো তাঁদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এক কথায় বহু গবেষণার পরেও ভিনগ্রহীরা মানবসমাজের কাছে অধরা। গবেষণা তো নেহাত কম হয়নি। কিন্তু তারপরেও কেন এতদিনে এলিয়েনদের খোঁজ পাওয়া যায়নি? এসব নিয়ে নতুন করে গবেষণা করেছেন নাসার ফিল্ম নির্মাতা সাইমন হল্যান্ড।
যে উত্তরটা এতদিন অধরা ছিল। এবার এই গবেষণায় তার নতুন ব্যাখ্যা পাওয়া গেল। নাসার ফিল্ম নির্মাতা সাইমন হল্যান্ডের দাবি, টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জানা গিয়েছে, যে পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে এলিয়েনদের বসবাস রয়েছে। এমনকী তারা খুব শীঘ্রই পৃথিবীতে আসতে চলেছে।
হল্যান্ডের মতে, পৃথিবী থেকে একটি টেলিস্কোপ দিয়ে নজর রাখা হয়েছিল এলিয়ানদের দিকে। এমনকি তার একটি সংকেতও পাওয়া যায় চলতি বছরের এপ্রিলে। তারপরে আবারও একটি সংকেত পাওয়া গিয়েছে অনেক কাছ থেকে। তা থেকেই পরিষ্কার যে, এলিয়েনরা ক্রমশ পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে।
ছায়াপথেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এলিয়েনরা
নাসার তরফ থেকে একটি রেডিও তরঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। তা দিয়েই ছায়াপথের উপর নজর রাখা হয়েছিল। হঠাৎই সেই রেডিও তরঙ্গে সংকেত পাওয়া যায়। তা থেকেই বিজ্ঞানীরা মনে করেছেন যে, এলিয়েনরা বর্তমানে পৃথিবী থেকে ৪.২ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।
হল্যান্ড বলেন, 'আকাশগঙ্গায় প্রযুক্তিগত উৎসের অন্তত একটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সংকেত রয়েছে, যেখানে পৃথিবী কমপক্ষে ছয় দশক ধরে একটি বুদবুদ বা স্পঞ্জের মধ্যে রয়েছে।'
তবে এই নিয়ে অন্য বিজ্ঞানীরা সমালচনা করেছেন। তাদের মতে, যদি তাই হয়, তাহলে পরিসংখ্যানগত ভাবে আমাদের ছায়াপথের কোথাও প্রতি শতাব্দীতে 5টিরও কম ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সঙ্কেত নির্গমন হয়। সায়েন্স অ্যালার্ট তাদের রিপোর্টে এটিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করে বলছে, এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সঙ্কেতগুলি মিল্কিওয়েতে সুপারনোভাসের মতোই সাধারণ। এলিয়েন সংক্রমণের আঘাত অনুভব করতে কমপক্ষে ৬০ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।