শেষ আপডেট: 18th October 2024 16:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জলবায়ু পরিবর্তনের জের। কিছু বছরের মধ্যেই বরফশূন্য হয়ে যেতে পারে আর্কটিক মহাসাগর। এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, হাতে আর মাত্র ১০ বছর। এরপরে শীতকালেও আর বরফ দেখতে পাওয়া যাবে না আর্কটিকে। নতুন গবেষণায় এটাই উঠে এসেছে আরও অনেক নতুন তথ্য।
হারিয়ে যাবে চাদরে মোড়া আর্কটিক
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আর্কটিক বলয়ে যে বরফ দীর্ঘদিন ধরে ছিল, তার পরিমাণ বছর বছর কমেই চলেছে। আগে প্রতি শীতে সেই বরফের পরিমাণ বৃদ্ধি পেত। কিন্তু এখন আর সেই লক্ষণ দেখা যায় না।
প্রতি সেপ্টেম্বরে সবথেকে কম বরফ থাকে। তারপরে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফও বাড়তে থাকে। তবে বিগত কিছু বছরে এমনটা হয়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন, ১৯৭৯ সাল থেকে যে উপগ্রহচিত্র পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে দশকপিছু ১৩ শতাংশ বরফ কমেছে।
আর্কটিক হল একটি মহাসাগর। এটিকে উত্তর মহাসাগরও বলা হয়। এর অবস্থান পৃথিবীর একদম উত্তর প্রান্তে। আর অবস্থানের জন্য এটি সুমেরু সাগর নামেও পরিচিতি। ইংরেজিতে এর নাম আর্কটিক ওশেন। আর এই মহাসাগর সব সময় বরফের চাদরে মোড়া থাকে। আর সেই বরফই ক্রমাগত গলে যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বরফশূণ্য হতে আর মাত্র ১০ বছর বাকি। এই তথ্য ঘুম কাড়ছে আবহাওয়াবিদ ও বিজ্ঞানীদের।
বিশ্বের আবহাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠে কী প্রভাব পড়বে?
গবেষকরা জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডি-অক্সাইড ঢোকার সময় সেখানের জলবায়ু প্রণালীতে কীরূপ পরিবর্তন হয়, তা দেখার জন্য একাধিক মডেলের সহায়তা নেন বিজ্ঞানীরা। তারপরে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পারলেই যে এই পরিস্থিতি তৈরি হবে না, তা কিন্তু একেবারেই নয়।
বরফ গলে গেলে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে আর্কটিকের প্রাণীদের ওপর। সীল এবং মেরু ভালুকের মতো প্রাণীরা আর টিকে থাকতে পারবে না। এখানকার বরফ গলে গেলে সারা বিশ্বের আবহাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর প্রভাব ফেলবে।