শেষ আপডেট: 7th December 2024 20:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'দেখ তোর জন্যে রোদ্দুর নামিয়ে..।' এ কোনও রূপকথা জগতের গল্প নয়। সত্যি, চাইলেই রোদ নামিয়ে আনা যায়। শীতের রাতে লেপ-কম্বলেও যদি ঠান্ডা না কাটে। মনে হয় একটু রোদ পোহাই! বা বান্ধবীকে রোদ উপহার দি, তাহলে এখন চাইলেই পাওয়া যাবে রোদ। শুধু অর্ডার দিয়ে দিতে হবে মোবাইলে। হ্যাঁ, খাবারের মতো হাতের মুঠোয় একটু রোদ পেতে চাইলে মোবাইলে অর্ডার দেওয়া যাবে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্টার্ট আপের কর্ণধার বেন নোয়াক এক নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
বেন সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত 'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনার্জি ফ্রম স্পেস' সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানেই তাঁর সমস্ত পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ দেন। জানান, সূর্যাস্তের পরও নির্দিষ্ট জায়গায় কীভাবে রোদ পৌঁছে দেওয়া যায় বা যেখানে রোদ পৌঁছয় না, সেখানে কীভাবে রোদ পাঠানো যায়। সেনিয়েই ভেবেছেন তিনি।
কীভাবে হতে পারে এই কৃত্তিম রোদের ব্যবস্থা?
৫৭টি কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে একাজ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৩৭০ মাইল উপরে রাখা এই সব উপগ্রহ সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করবে এবং পৃথিবীতে আলো পৌঁছবে। প্রতিটি উপগ্রহে থাকবে ৩৩ বর্গফুটের পলিয়েস্টার ফিল্মের 'মাইলার' দর্পণ, যা সূর্যাস্তের পরেও পৃথিবীতে আলো পাঠাতে সক্ষম।
এই প্রকল্পের ফলে কারও ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ হবে এমন নয়। সৌরশক্তি উৎপাদনে বিপ্লব আসবে বলে মনে করছেন তিনি। বর্তমানে শুধুমাত্র দিনের বেলায় সৌরশক্তির উৎপাদন হয় কিন্তু সারাদিন রোদ পাওয়া গেলে শক্তি বৃদ্ধি হবে। বেনের লক্ষ্য হল, সূর্যাস্তের পরও ৩০ মিনিট পর্যন্ত পৃথিবীতে রোদ এনে সৌরশক্তি উৎপাদন বাড়ানো।
বেনের সংস্থাটি পরীক্ষামূলকভাবে একটি গ্যাস বেলুনে ৮ ফুট বাই ৮ ফুটের একটি মাইলার দর্পণ ব্যবহার করে সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করেছে। যা প্রায় ৮০০ ফুট দূরে সৌর প্যানেলেও পাঠানো হয়েছে। প্রতি বর্গমিটার প্যানেল থেকে ৫০০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।
সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের মধ্যেই এই প্রকল্প চালু করতে চান ওই ব্যক্তি। এই ব্যবসা নিয়ে আশাবাদীও তিনি।