শেষ আপডেট: 10th December 2024 18:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টেক দুনিয়ায় নতুন এক মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল গুগল। কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে এই টেক জায়ান্ট। জানা গেছে, গুগল তৈরি করেছে একটি নেক্সট-জেনারেশন কম্পিউটার চিপ, যার নাম উইলো (Google Chip Willow)।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় গুগলের কোয়ান্টাম ল্যাবে এই চিপটি তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, উইলো এমন একটি চিপ, যা অত্যন্ত জটিল অঙ্ক মাত্র কয়েক মিনিটে সমাধান করতে পারে।
গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই বিষয়টি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘উইলো – আমাদের নতুন স্টেট-অফ-দি-আর্ট কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ।’ পিচাই জানান, Willow একটি বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় এমন এক অঙ্ক সমাধান করেছে, যা সাধারণ সুপার কম্পিউটারের জন্য সময় লাগত ব্রহ্মাণ্ডের বয়সের চেয়েও বেশি। উইলো সেটি পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ে সমাধান করেছে।
We see Willow as an important step in our journey to build a useful quantum computer with practical applications in areas like drug discovery, fusion energy, battery design + more. Details here: https://t.co/dgPuXOoBSZ
— Sundar Pichai (@sundarpichai) December 9, 2024
বিশেষজ্ঞদের মতে, উইলো-র এই সাফল্য প্রযুক্তির ভবিষ্যতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। এর মাধ্যমে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব হবে। তবে এই ধরনের কম্পিউটার তৈরি করতে এখনও সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
উইলো তৈরির নেতৃত্বে ছিলেন গুগলের কোয়ান্টাম এআই ল্যাবের হার্টমুট নেভেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এই চিপটি অনেক প্র্যাকটিক্যাল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।’ তবে নির্দিষ্ট কী ধরনের অ্যাপ্লিকেশনে এটি ব্যবহার হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি কাজ করে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভিত্তিতে, যা অতি ক্ষুদ্র কণার আচরণের উপর নির্ভর করে। এই ধরনের কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয় অতি দ্রুত এবং জটিল সমস্যার সমাধানের জন্য।
গুগলের এই চিপ প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। উইলো শুধু গাণিতিক সমস্যার সমাধানেই নয়, ভবিষ্যতে বিজ্ঞান, চিকিৎসা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।