শেষ আপডেট: 14th December 2024 19:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাবল স্পেস টেলিস্কোপ একটি বিশাল মহাকাশ গবেষণা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এটি ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল মহাকাশে পাঠানো হয়। সেই থেকে এটি বিভিন্ন সব আবিষ্কারে ব্যস্ত। মহাকাশে থেকে বিভিন্ন অপরূপ ও বিস্ময়কর ছবি তুলে গবেষণা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়। সেই সব ছবিতে ধরা পড়ে গ্যালাক্সি, ধুমকেতু এবং আরও অনেক কিছু।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ কী?
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ হল একটি বৃহৎ মহাকাশ টেলিস্কোপ, যা পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে বেড়ায়। এটি মহাবিশ্বের ছবি তুলে বিজ্ঞানীদের পাঠায়। তারপরে তাঁরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেন। ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল স্পেস শাটল ডিসকভারি-এর মাধ্যমে এটি পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়। টেলিস্কোপটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৩২ মাইল উপরে থাকে এবং প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫ মাইল গতিতে চলাচল করতে পারে। দেখে নেওয়া যাক হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পাঠানো পাঁচটি অসাধারণ ছবি।
বাটারফ্লাই নেবুলা
এই ছবিকে একটি নক্ষত্রকে দেখা যায়। নক্ষত্র ভেঙে যাওয়ার পর এর ধূলিকণা এবং গ্যাসের যেভাবে বিস্ফোরণ ঘটে, তা এই ছবিতে স্পষ্ট। ছবিটি জেসন কালিরাই-এর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
ট্যাডপোল গ্যালাক্সি
ট্যাডপোল গ্যালাক্সিতে সংঘর্ষের ফলে যেভাবে নতুন নক্ষত্র গঠন হয়েছে, তা এই ছবিতে স্পষ্ট। জন গ্রুনসফেল্ডের ক্যামেরায় ধরা পড়া এই ছবিটিতে গ্যালাক্সির পরিবর্তনের অদ্ভুত দিক ফুটে উঠেছে।
তারা মণ্ডল
অ্যান্টোনেলা নোটার তোলা এই ছবিতে তারা মণ্ডলটি অপূর্বভাবে ধরা পড়েছে। এখানে মূল গ্যাস ও ধূলিকণার মধ্য থেকে তারাদের দেখা গিয়েছে। অসংখ্য তারার সমাবেশ এই দৃশ্যকে আরও মোহময় করে তোলে, সেটা এই ছবিতে স্পষ্ট।
অপরূপ গ্যালাক্সি
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এই যে ছবিটি তুলেছে, এতে গ্যালাক্সির চোখধাঁধানো রঙ এবং এর মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে থাকা বাদামি শিরার মতো কাঠামোগুলি স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। ছবিটি তুলেছেন জোলটান লেভাই।
প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক
অরিয়ন নেবুলায় ধরা পড়া প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্কগুলো তোলা হয়েছে। এডওয়ার্ড ওয়েইলার তোলা এই ছবিতে ছোট ধুমকেতু ও রহস্যময় আলো মহাবিশ্বের গঠন প্রকৃতি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দেয়।