শেষ আপডেট: 25th June 2024 14:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুযোগ পেলে মহাকাশে যাওয়ার জন্য সবাই হাত তুলে দেবে। অসীম শূন্যতা থেকে পৃথিবীকে চাক্ষুষ করার স্বপ্ন তো প্রায় সকলেই দেখেন। কে বলতে পারে, প্রযুক্তি যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে আর কয়েক বছরের মধ্যেই মহাকাশ ঢুঁ মারা জলের মতো সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু সেখানে গেলে থাকা-খাওয়ার কী হবে? তার জন্যই তো রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন।
গবেষণার জন্য যারা মহাকাশে যান তাদের এক এবং একমাত্র থাকার জায়গা এই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। বিগত ২৫ বছর ধরে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে এটি। হলিউডের একাধিক সিনেমায় তার দেখা মিলেছে বটে, কিন্তু সেটা তো ভিএফএক্স-এর কাজ, কম্পিউটারে বানানো। আসলে এই স্পেস স্টেশনের মধ্যে কী আছে, তা জানার আগ্রহ সকলেরই আছে। সেই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
৪১৯ টন ওজনের এই স্পেস স্টেশন একটি ফুটবল মাঠের মতো বা তার থেকেও বড় আকারের হয়। লম্বায় প্রায় ১০৯ মিটার! এর মধ্যে একাধিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি রয়েছে যেখানে এসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা করেন।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন মেরামতি বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে পাহাড়প্রমাণ খরচ হয় সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেই সংখ্যাটা কত? সূত্রের খবর, স্পেস স্টেশনের জন্মের পর থেকে এতদিন পর্যন্ত এই কাজে খরচ হয়েছে অন্তত ১৫০ বিলিয়ন ডলার।
মহাকাশচারীরা চলে তো গেলেন, কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে গবেষণা ছাড়া করারই বা কী আছে? এটা আদতে ভুল প্রশ্ন। সঠিক প্রশ্ন হওয়া উচিত, কী করার নেই! ৬টি বেডরুম, ২টি বাথরুম, একটি জিম রয়েছে এই স্পেস স্টেশনে! অর্থাৎ সাধারণ জীবনযাত্রা করার সম্পূর্ণ সুযোগ মেলে। তার সঙ্গে পৃথিবীর ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ তো উপরি পাওনা।
২৫ বছর ধরে সমানতালে পৃথিবীর চারপাশে নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরে চলেছে এটি। তার কোনও বিরাম নেই। জানা গেছে, প্রতিদিন ১৬ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এই স্পেস স্টেশন এবং তার গতি থাকে ২৮.১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
পাঁচটি স্পেস এজেন্সির মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্বের ১৫টি দেশের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই পা রেখেছেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এখানে পদচিহ্ন পড়েনি কোনও ভারতীয়র। যদিও খুব তাড়াতাড়ি সেই সুযোগও আসছে। কোনও ভারতীয় বিজ্ঞানীকে দ্রুত ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পাঠানো পরিকল্পনা করছে ইসরো। পাশাপাশি ২০৪০ সালের মধ্যে ভারত নিজস্ব স্পেস স্টেশন বানানোর তোড়জোড়ও শুরু করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের পাশে ভারতের স্পেস স্টেশন হলে তার নাম হবে 'ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন'।