শেষ আপডেট: 17th October 2024 18:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অ্যাকোয়ারিয়ামের এক প্রান্ত থেকে অন্য এক প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি বিশাল 'হাঙর তিমি' মাছ। দেখতে এক্কেবারে আসল মনে হলেও সে আসলে রোবট। চিনের জিয়াওমিশা সি ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়ারিয়ামে আসল মাছের পরিবর্তে নকল রোবোটিক 'হাঙর তিমি' মাছ রাখা হয়েছে বলে দাবি সেখানকার দর্শনার্থীদের। তাহলে কি এত বছর ধরে বোকা বানানো হচ্ছিল? উঠছে প্রশ্ন।
এতদিনে সত্যতা বেরিয়ে এল
আসলে এর আগেই এই অ্যাকোয়ারিয়ামে, একটি বিরল এবং মূল্যবান 'হাঙর তিমি' মাছ রাখা হয়েছিল। তা দেখার জন্য এতদিন বহু মানুষের ভিড় জমতো। সেটি যে আসল মাছ ছিল না, তা তখনও ধরে ফেলেছিল মানুষ। তারপরে ৫ বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই অ্যাকোয়ারিয়াম। আবার সেই ঘটনাই ঘটল। চলতি বছরের ১ অক্টোবর পাঁচ বছর পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই সি ওয়ার্ল্ড। তারপরেই ধরা পড়ল রোবটিক 'হাঙর তিমি' মাছ।
কীভাবে নজরে এল?
দর্শনার্থীরা অ্যাকোয়ারিয়ামের দিকে তাকাতেই বুঝতে পারলেন মাছটা স্বাভাবিক নয়। অনেক অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে। নকল মাছকে আসল মাছ হিসেবে দেখানো হচ্ছে, এমনটা বুঝতে পারতেই সেখানে হইচই পড়ে যায়। দর্শনার্থীরা নকল মাছ দেখতে কেন এত টাকার টিকিট কাটবেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছ দেখানোর দাবি
চিনের জিয়াওমিশা সি ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাছ। এমনটাই দাবি করেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে তা যে আসল নয়, নকল! এই 'হাঙ্গর তিমি' মাছের জন্য প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সবচেয়ে বড় মাছটি দেখতে সেখানে পৌঁছেছিলেন প্রায় এক লাখ মানুষ। তারপরে মাছটিকে ভাল করে দেখতেই দর্শনার্থীরা বুঝতে পারেন, যাকে বিশ্বের বৃহত্তম মাছ বলে দাবি করা হচ্ছে, তার মধ্যে আসলে রয়েছে কিছু যন্ত্র।
উত্তরে কী বলেছেন অ্যাকোয়ারিয়ামের অপারেটররা?
মাছটিকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় হট্টগোল। তারপরেই মুখ খুললেন অ্যাকোয়ারিয়ামের অপারেটররা। তাঁদের দাবি, এই মাছটিকে নকল রাখা হয়েছে। তার পিছনে একটি কারণ আছে। বলেন, 'এর মাধ্যমে আমরা আসলে একটি বার্তা দিতে চাইছি। যাতে তিমি হাঙর ধরা এবং ব্যবসা নিষিদ্ধ করা যায়।' কিন্তু তারপরেও মানুষ সি ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে টাকা ফেরতের দাবিতে অনড় থাকে।
কুকুরকে পান্ডা সাজিয়ে প্রদর্শন
এর আগেও কুকুরকে পান্ডা সাজিয়ে চিড়িয়াখানায় রেখেছিল চিন। ফোলানো লোমের দুটি চৌ চৌ প্রজাতির কুকুরকে কৃত্রিমভাবে রাঙিয়ে পান্ডা সাজায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এরপর পান্ডার খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া হয় কুকুর দু'টিকে। তখনও বিষয়টি উন্মোচিত হতে চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেছিলেন, 'আমাদের পান্ডা না থাকলে কী করা উচিত, চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা লোকজনের জন্য কিছু করা দরকার, তাই কুকুরগুলোকে পান্ডা বানানো হয়েছে।'