শেষ আপডেট: 11th November 2024 13:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লালগ্রহ আর মানুষের বসবাসযোগ্য নয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনই দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী ছাড়া আর কোন গ্রহে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণের অস্তিত্ব থাকার অন্যতম শর্ত হল জল। লাল গ্রহ মঙ্গলে সেই জলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এবার জানানো হল, লাল গ্রহে মানুষ পাঠালেই তার মধ্যে দেখা যাবে বিরাট পরিবর্তন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব এবং মঙ্গলে তা শেষ হওয়ার মূল কারণ হল, দু'টি গ্রহের গ্যাস গঠন এবং সূর্য থেকে তাদের দূরত্বের পার্থক্য। তাছাড়া মঙ্গল গ্রহ সূর্য থেকে অনেক দূরে, সেখানে যে প্রাণের সন্ধান মিলেছে তা বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত গ্রিনহাউস গ্যাসের উপর বেশি নির্ভরশীল ছিল যা তাপমাত্রাকে বাঁচিয়ে রাখে। এদিকে আবার জীবাণুরা নিজেরাই তাদের গ্রহকে ধ্বংস করেছে।
বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে থাকা গেইল ক্রেটারে এমন মাটির সন্ধান পেয়েছেন, যাতে কার্বনের পরিমাণ যথেষ্ট রয়েছে। এই খনিজে পূর্ণ কার্বোনেট বলে দিচ্ছে মঙ্গলের আদি ইতিহাস। এগুলি এমন কার্বোনেট যা একসময় বায়ুমণ্ডলে পরিনত হয়েছিল। কিন্তু এখন তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এদিকে আবার ২০৩০ সালের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে মঙ্গলে বসতি স্থাপনের আগেই সাবধানবাণী শোনালেন জীববিজ্ঞানীরা। মঙ্গলের বুকে মানুষের স্থায়ী বসবাস নিয়ে এ বার সতর্কবার্তা দিলেন জীববিজ্ঞানী। তাঁদের মতে, মঙ্গল গ্রহে মানববসতি গড়ে উঠলে বিবর্তন হবে মানুষের। মঙ্গলে মানুষ থাকতে শুরু করলে শরীর ধীরে ধীরে সবুজ হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে কমতে পারে দৃষ্টিশক্তিও। তারপরে দেখা দিতে পারে অন্ধত্বও।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গল আরও শীতল হয়ে উঠবে। গ্রহটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। অণুজীবের সংখ্যা বাড়ার ফলে তাপমাত্রা মাইনাস ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে। জীববিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের দেহে পরিব্যক্তি বা মিউটেশনের অর্থ হচ্ছে ডিএনএ গঠনের স্থায়ী পরিবর্তন। মঙ্গলের কম অভিকর্ষ ও মহাজাগতিক রশ্মির উচ্চ বিকিরণের কারণে নানা পরিব্যক্তি ঘটবে মানবশরীরে।