শেষ আপডেট: 4th May 2024 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চাঁদে আগেও মহাকাশযান পাঠিয়েছে চিন। চাঁদের না দেখা অন্ধকার দিকে গিয়ে ঢুঁ মেরে এসেছে চিনের চন্দ্রযান। এবার পাকিস্তানের চন্দ্রযানকেও কাঁধে চাপিয়ে চাঁদে নিয়ে গেছে চিন। এই প্রথমবার চিনের সাহায্যে চাঁদ-মুলুকে পাড়ি দিল পাকিস্তান। চিনের রকেট চ্যাং-৬ এ চেপে পাকিস্তানের স্পেসক্রাফ্ট যাচ্ছে চাঁদে।
চাঁদে পাকিস্তানের যে মহাকাশযান গেছে তার নাম আইকিউব কামার। এর আগে মহাকাশে পাকিস্তান বহু কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠালেও চাঁদে পাড়ি এই প্রথম। চিনের হাত ধরেই এবার চন্দ্র-অভিযানের তালিকায় নাম তুলল তারা।
পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অফ স্পেস টেকনোলজি (আইএসটি) দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সুপারকো এবং চিনের সংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি তৈরি করেছে। চিনা হাইনান প্রদেশের স্থানীয় সময় ১২টা ৫০ মিনিটে চিনের রকেটে চেপে পৃথিবীর মাটি ছাড়িয়েছে পাকিস্তানের মহাকাশযান। উপগ্রহটিতে রয়েছে ২টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা। যা দিয়ে চাঁদের নিখুঁত ছবি তোলা সম্ভব। চিনের হাত ধরেই চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে ধূলা ও পাথরের নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসবে পাকিস্তান।
২০২০-তে চাঁদের বুকে অবতরণ করে চিনা মহাকাশযান চ্যাং ৫। প্রথমবার চন্দ্রপৃষ্ঠের মাটি পৃথিবীতে নিয়ে আসে চিন। প্রসঙ্গত, ২০১৩-য় প্রথমবার চাঁদ জয় করে চিন। ২০৩০-র মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর ঘোষণাও করেছে বেজিং। চাঁদে পাকাপাকিভাবে বসতি গড়ে তোলা যায় কিনা, সেই লক্ষ্যেই আগামীদিনে চন্দ্র অভিযান করবে চিন। চ্যাং ৮ মিশনে চাঁদের আবহাওয়া ও সেখানকার মাটিতে কী কী ধাতু রয়েছে, সেই সংক্রান্ত গবেষণা চালানো হবে। ওই মিশনেই থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি নামিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে
চিনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিজ্ঞানী ইউ ওয়ারেন জানিয়েছেন, মুন স্টেশন তৈরির পরিকল্পনাও আছে চিনের। আগামী দিনে চাঁদের মাটি দিয়েই মুন স্টেশন তৈরি করা হবে বলে দাবি করেছেন চিনা বিজ্ঞানী ওয়ারেন। তাঁর দাবি, চ্যাং ৮ মিশনের সময় চন্দ্রপৃষ্ঠে ইট তৈরি করা হবে। চাঁদের মাটি দিয়েই তৈরি হবে ইট। তারপর ধীরে ধীরে চাঁদে বাঙ্কার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে।