শেষ আপডেট: 2nd August 2024 22:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘরে বাইরে লাগাতার সমালোচনার মুখে বৃহস্পতিবারই যোগী আদিত্যনাথ রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর চাকরি করতে আসিনি। পদের মোহ আমার নেই। থাকলে এতদিনে মঠের (গোরক্ষনাথ মঠ ও মন্দির) প্রধান হয়ে যেতাম।’ তারপর চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগেই খাস বিধানসভায় জমি সংক্রান্ত একটি বিল দলেরই বাধায় পাশ করাতে পারলেন না উত্তর প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বিলটির নাম ‘দ্য ইউপি নাজুল প্রপার্টিজ (ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইউটিলাইজেশন অফ পাবলিক পারপাসেস) ২০২৪।’ বেদখল হওয়া সরকারি জমিকে নাজুল বলা হয়ে থাকে। রাজ্য সরকার চাইছে বেদখল জমি উদ্ধার করে উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগাতে।
আশ্চর্যের হল, বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির চেয়েও জোরালো ভাষায় যোগীর বিলের বিরুদ্ধে গলা চড়ান একাধিক বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের বক্তব্য, এই বিল পাশ হলে রাজ্যের গরিব মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে। সরকারের বরং উচিত যারা দীর্ঘদিন ওই জমিতে বাস করছে তাদের বসবাসের ছাড়পত্র দেওয়া।
উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং এক সময় বাংলায় দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন। বিধানসভায় বিলের বিরোধিতায় তিনি ছিলেন সবচেয়ে সরব। মুখ্যমন্ত্রীকে মুখের উপর বলেন, এই বিল প্রত্যাহার করুন। আমরা গরিব মানুষের ক্ষতি করতে চাই না।
ওদিকে, আরও ছয়টি রাজ্যের মতো উত্তর প্রদেশে বিধান পরিষদও আছে। সেখানেও বিলটি বিরোধীদের পাশাপাশি দলীয় সদস্যদের বিরোধিতার মুখে পড়ে। শেষ মুখ্যমন্ত্রীর মান রক্ষায় এগিয়ে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ভুপেন্দ্র চৌধুরী পরামর্শ দেন বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক। সেই প্রস্তাব মেনে যোগী বিল প্রত্যাহারের অস্বস্তি থেকে রক্ষা পান।
বিজেপি সূত্রের খবর, বিলটি নিয়ে যোগী একাই এগচ্ছিলেন। দু’দিন আগেই দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রিজেশ পাঠক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পরামর্শ দেন, বিলটি বিধানসভায় পেশ না করতে। তাদের বক্তব্য ছিল, এই বিল পাশ বলে রাজ্যে দলিত, জনজাতি এবং ওবিসি ভোট আরও হাত ছাড়া হয়ে যাবে বিজেপির। সদ্যই লোকসভা ভোটে দলের আসন গতবারের থেকে কমে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। দলের একাংশের বক্তব্য, যোগী নিজেকে উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসাবে তুলে ধরতে ব্যস্ত।