শেষ আপডেট: 29th July 2024 15:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশে দলীয় বিবাদে রাশ টানল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সোমবার থেকে লখনউতে শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং বৃজেশ পাঠক।
এর আগে দুই উপমুখ্যমন্ত্রীই মন্ত্রিসভার দুটি বৈঠক বয়কট করেন। মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল তাঁদের। লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির আসন কমে অর্ধেক হয়ে যাওয়ার দায় দুই উপ মুখ্যমন্ত্রীই নাম না করে যোগীর উপর চাপিয়ে দেন। যোগীর গদি যেতে পারে এমন আলোচনাও শুরু হয়ে যায় দলে। রাজ্যের আরএসএস নেতৃত্বও গোলমাল থামাতে ব্যর্থ হয়। যোগীকে না সরালে দিল্লি গিয়ে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী।
বরফ গলে শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকের পর। প্রধানমন্ত্রী মোদী বৈঠক শেষে দলের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এরপর যোগী সহ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে মুখোমুখি বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই যোগীকে সামনে রেখে দল ও সরকার পরিচালনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই উত্তর প্রদেশ বিজেপি এক বিবৃতি জারি করে বলেছে, রাজ্যের দশ বিধানসভার উপ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন যোগী।
এই পটপরিবর্তনের পরই চর্চা শুরু হয়েছে মোদী তাঁর আশীর্বাদী হাত আপতত কেন যোগীর মাথায় রাখলেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রশাসন চালনায় যোগীর কঠোর মনোভাব মোদীর বিশেষ পছন্দ। দলেও অনেকে বলে থাকেন, উত্তর প্রদেশে যোগী সরকার চালাচ্ছেন গুজরাতে মোদীর শাসন অনুকরণ করে। তাছাড়া লোকসভা ভোটে যোগী প্রশাসনের কাজের তুমুল প্রসংশা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় ভোটে বিপর্যয়ের দায়ে যোগীকে সরালে মোদীর নিজের গায়ে থুতু ছেটানো হয়ে যাবে। ফলে যোগীকে সতর্ক করে তাঁর হাতেই আপাতত উত্তর প্রদেশের ভার রেখে দেওয়া হতে পারে।