শেষ আপডেট: 31st August 2024 18:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় আগুন জ্বালালে অসম, উত্তর-পূর্ব ভারত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লিতেও আগুন জ্বলবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই হুঁশিয়ারি নিয়ে বিরোধী মহলে তোলপাড় চলছে। এই পরিস্থিতিতে দলনেত্রীর পাশে দাঁড়ালেন প্রবীণ অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। শত্রুঘ্নর মতে, মমতা যা অত্যন্ত পরিণত কথাই বলেছেন।
মমতা বলেছিলেন, বাংলায় বিজেপি আগুন লাগালে, দেশের অন্য রাজ্যগুলোতেও আগুন জ্বলবে। উত্তরপ্রদেশ,অসম থেকে বিহার,মধ্যপ্রদেশেও আগুন জ্বলতে শুরু করবে। টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এমনই হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ করার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। তিনি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির দারুণ মিল। যারা ভাবছে বাংলাদেশের মতো এই রাজ্যকে অশান্ত করে তুলবে, তারা ভুল করছে। প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, এমন করা হলে সবাই মিলে তাঁর আসন ধরে টানাটানি করবে। আসন টলমল করবে।
তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে দেশে বিরাট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর এ বিষয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা শনিবার সংবাদসংস্থাকে বলেন, আমি যতদূর আমার দিদিকে (মমতা) চিনি, উনি যা বলেছেন তা অত্যন্ত পরিণত মস্তিষ্কেরই কথা। উনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, যদি ওরা কলকাতার ঘটনা নিয়ে মানুষকে উসকানি দেয় তাহলে তার প্রভাব কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কারণ, কলকাতার ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে। তদন্ত করছে সিবিআই, বলেন শত্রুঘ্ন।
আরজি কর কাণ্ডের জেরে বিজেপি-সহ বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় এ রাজ্যের শাসকদল। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ। পাল্টা পথে নেমেছিলেন তৃণমূল নেত্রীও। তিনি অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। সিবিআই তদন্তেও তাঁদের আপত্তি নেই বলে প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছেন। যদিও তদন্তে সিবিআই এখনও কিছু করে উঠতে পারেনি বলেও কামান দাগতে ছাড়েননি মমতা।