শেষ আপডেট: 21st June 2024 20:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হেলদি স্ন্যাকিং, সেটা আবার কী! কলকাতার মানুষরা স্ন্যাকিং বলতে বোঝে ওই চপ, মুড়ি, সিঙ্গারা। আর আমাদের মতো তরুণ প্রজন্মের কাছে ফ্রায়েড চিকেন, চাউমিন, চিলিচিকেন এসব। কিন্তু যে সবসমসয় অস্বাস্থ্যকর হতে হবে তেমনটা কিন্তু নয়। প্রথমেই বলি স্ন্যাকিং কী?
স্ন্যাকিং হল বড় কোনও মিলের মাঝে অল্প অল্প করে বারবার কিছু খাওয়া পেট ভরানোর জন্য। এখনকার জেন জি থেকে মিলেনিয়াল যে কোনও প্রজন্মের কাছে এই স্ন্যাকিং-এর গুরুত্ব মারাত্মক। কারণ, দ্রুতগতিতে বয়ে চলা এই জীবনের সঙ্গে পাল্লা মিলিয়ে চলতে গিয়ে সময়ে খাওয়াদাওয়া কিছুই হয় না। ফলে স্ন্যাকিংই একমাত্র ভরসা। যদিও বেশিরভাগ সময়ে বাইরের খাবারই খাওয়া হয় এবং আনহেলদি খাবার খাওয়ার অভ্যেস তৈরি হয়ে যায়।
এখন আর সেই চিন্তা করতে হবে না কারণ সম্প্রতি কলকাতায় 'দ্য গ্রোয়িং জিরাফ' ব্র্যান্ড নিয়ে এসেছে হেলদি স্ন্যাকিং-এর অপশন। গত ১৭ জুন ক্যালকাটা ক্লাবে অফিশিয়ালি নিজেদের লঞ্চ করেন দ্য গ্রোয়িং জিরাফ। এই ব্র্যান্ডের মূল লক্ষ স্ন্যাকিংকে সুস্বাথ্যকর করে তোলা। ফলে প্রত্যেকটা উপাদান বাছাইয়ের উপর জোর দেন তাঁরা।
অনুষ্ঠান শুরু হয় একটি প্যানেল ডিসকাশনের মাধ্যমে। দ্য গ্রোয়িং জিরাফের কর্ণধার রুক্মিণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি একজন আইনজীবী। কীভাবে হঠাৎ করে যে উদ্যোগপতি হয়ে গেলেন সেটা ভাবতেও অবাক লাগে। তিনি আরও জানান, দ্য গ্রোয়িং জিরাফ বিশ্বাস করে আনন্দময় ও সুস্থ জীবন-যাপনে। দ্য গ্রোয়িং ওয়ার্ল্ডের স্ন্যাকিং আইটেমে যে উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলো প্রত্যেকটাই ভীষণ হেলদি। যেমন- রাগি, জোয়ার, ওটস এবং গুড়ের মতো নানারকম উপাদান।
আজকের দুনিয়ায় একটা ব্যালান্সড লাইফস্টাইল বজায় রাখাটাই যেন একটা চ্যালেঞ্জ। যতই আমরা সংযম ধরে রাখার চেষ্টা করি, দিনের শেষে নানা মুখরোচক খাবার ঠিকই খাওয়া হয়ে যায়। ২০২২ সালের ল্যান্সেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, ১৯৯০ সাল থেকে হিসেব করলে, ভারতে পুরুষদের মধ্যে ওবেসিটির হার ৫.৪ শতাংশ হারে এবং মহিলাদের মধ্যে প্রায় ৯.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের হিসেবে ভারতের প্রায় ৭০ মিলিয়ন লোকজন ওবেসিটিতে আক্রান্ত। কাজের জগতে চাপ যত বাড়ছে, ধূমপান, অপরিমিত ফাস্ট ফুড খাওয়া ইত্যাদি নানা ক্ষতিকর হ্যাবিট তৈরি হচ্ছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর হেলদি ফ্যাট বা হোল গ্রেন উপাদান দিয়ে বানানো খাবার খেলে একদিকে যেমন জিভের চাহিদা মেটে, অন্যদিকে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও সঞ্চয় করতে পারা যায়। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।