শেষ আপডেট: 3rd February 2023 12:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁর (Soumitra Khan) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ (Sujata Mondal Khan)। আদালতে বিবাহ বিছেদের মামলায় হাজিরা দিতে এসে প্রকাশ্যে আনেন আসল ঘটনা। তাঁর অভিযোগ, "আমার তৃণমূলে যোগদানের কষ্টে নয়, অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই বিয়ে ভাঙতে চাইছেন সৌমিত্র।"
একুশের বিধানসভা ভোটের মাস কয়েক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছিলেন সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তৃণমূল ভবনে সুজাতা যখন কুণাল ঘোষ এবং সৌগত রায়ের হাত থেকে ফের জোড়াফুলের পতাকা তুলে নিচ্ছেন, ঠিক তারপরেই বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, যিনি তখনও সুজাতার স্বামী। প্রেসের সামনে সেদিনই স্ত্রী'কে ডিভোর্স দেওয়ার কথা জানান সৌমিত্র।
এবার সেই নিয়েই মুখ খুলেছেন সুজাতা। বলেন, ত্রিকোণ প্রেমই সাংসদ স্বামীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি করেছিল। অন্য মহিলার সঙ্গে প্রেমের কথা জেনে ফেলায় শুরু হয়েছিল অত্যাচারও। শেষ পর্যন্ত এই দূরত্বই বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে মোড় নেয়। জানা গেছে, শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় হাজিরা দিতে এসে সাংসদ স্বামীর বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সুজাতা। যদিও এর পাল্টা দিয়েছেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদও। সুজাতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সৌমিত্র সংক্ষেপে জবাব দেন যে, জীবন থেমে থাকে না।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বড়জোড়ার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলকে বিয়ে করেছিলেন বিষ্ণুপুরের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎই জোড়াফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমিত্র। সঙ্গে যান সুজাতাও। কিন্তু ২০১৯ সালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচারে নামতে পারেননি বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র। সেইসময় সুজাতা স্বামীর হয়ে প্রচারে নামেন। তাঁর কাঁধে ভর করেই নির্বাচনী বৈতরণী পেরিয়ে যান সৌমিত্র খাঁ।
কিন্তু অভিযোগ, নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই ধীরে ধীরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সুজাতা আবার তৃণমূলে ফিরে আসায় বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র। সেই মামলা গড়ায় আদালতে। আজ, শুক্রবার ওই মামলারই শুনানি ছিল বাঁকুড়া জেলা আদালতে। সেখানেই সাংসদ স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুজাতা।
স্টেটব্যাঙ্কের জলপাইগুড়ি শাখায় কর্মজীবন শুরু, ৪৪ বছর পরেও আবেগে ভাসলেন রাজ্যপাল