শেষ আপডেট: 9 May 2023 07:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের বেশকিছু হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা (Health Infrastructure of State) নিয়ে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এব্যাপারে উদাসীনতার ছবি সামনে এসেছে। কিন্তু জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া রাজ্যের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে, মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
প্রসঙ্গত, নদিয়ার তাহেরপুরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের করুণ ও ভগ্নপ্রায়দশা নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। তাঁদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ২০১৬ সালে তাহেরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা নিয়ে নবীন চাকি নামে এক স্থানীয় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, এলাকার বাসিন্দাদের আপৎকালীন সমস্ত জরুরি পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা উচিত। যদি সেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকে তবে সেটা সরকারের ব্যর্থতা।
তিনি আরও বলেন, 'কীভাবে এবং কী কী পরিষেবা জনগণকে প্রদান করতে হবে রাজ্যকে, তা মনে করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আদালতের নয়। পরিষেবা দেওয়া সরকারের দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে।
এরপরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্যের কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি কোনও পরিকাঠামোগত বা কর্মীর অভাব থাকে তবে তা যেন স্বাস্থ্য সচিবকে জানানো হয়। সেই মর্মে স্বাস্থ্যদফতরকে একটি নির্দেশিকা জারি করতে হবে। যদি কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে তা সচিব রাজ্যকে জানাবে এবং অবিলম্বে তা সমাধান করতে হবে।
উল্লেখ্য, যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুরবস্থা নিয়ে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে, সেই তাহেরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সমস্ত রকম পরিকাঠামোগত চাহিদা মেটানোর নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঠিকমতো চলছে কিনা বা পর্যাপ্ত কর্মী আছেন কিনা তাও নজরদারির মধ্যে রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
জোড়াসাঁকোয় কবিগুরুর মূর্তিতে মালা দিলেন অমিত শাহ, মমতার কটাক্ষ, মণিপুর যাননি কেন?