শেষ আপডেট: 3rd January 2024 20:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এ চোর নাকি সঙ্গীতপ্রেমী! সিসিটিভিতে চোখ রেখে চোরের কীর্তি দেখে পুলিশের দুঁদে অফিসারদের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়!
গভীর রাতে রেস্তোরাঁর জানলার কাঁচ ভেঙে চুরি করতে ঢুকে একে একে গিটার, সাউন্ড সিস্টেম, হোম থিয়েটার- সঙ্গীতের একাধিক বাদ্যয়ন্ত্র নিজের বস্তায় ঢোকাচ্ছে চোর!
হাসনাবাদ থানার টাকি পুরসভার ৫নং ওয়ার্ডের টাকি কেন্দ্রীয় পাঠাগারের উল্টোদিকে রয়েছে একটি রেস্তোরাঁ। খাদ্যপ্রেমীদের মনোরঞ্জনের জন্য এখানে খাবারের সঙ্গে ফ্রিতে শোনানো হয় গানও।
সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে ওই রেস্তোরাঁয় চুরির ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে চোখ রেখে পুলিশ দেখে, ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা নেওয়ার পাশাপাশি চোর বাবাজীবন রেস্তোরাঁর ভেতরে থাকা একাধিক বাদ্যযন্ত্রও চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এমনকী যাওয়ার সময় রেস্তোরাঁর একাংশে সে ভাঙচুরও চালায়। সবমিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে পুলিশকে জানান রেস্তোরাঁর মালিক।
তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। রেস্তোরাঁর সামনে থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুণধর ওই চোরের নাম হোসেন গাজি। বাড়ি বসিরহাটের সংগ্রামপুরে। রেস্তোরাঁর মালিক সঞ্জীব দাস পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে এই হোসেন গাজি তাঁর রেস্তোরাঁয় কাজ করত। কিন্তু তার অভব্য আচরণের জন্য তাকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
সম্ভবত ওই আক্রোশের জেরেই সে রেস্তোরাঁয় চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন সঞ্জীববাবু। তবে অন্যান্য সামগ্রী থাকা সত্ত্বেও চোর কেন বেছে বেছে বাদ্যযন্ত্র চুরি করল, তা নিয়ে পুলিশের অন্দরেও রসিকতা শুরু হয়েছে।
চোরের কীর্তির 'খবর' থানা থেকে মুখে মুখে ছড়িয়েছে টাকি শহরেও। শীতের সন্ধেয় সকলের মুখে মুখে ঘুরছে সঙ্গীতপ্রেমী চোরের কীর্তি! স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অনেক ধরনের চোরের কথা শুনেছি, কিন্তু সঙ্গীতপ্রেমী চোরের কথা আগে কখনও শুনিনি।