সুন্দরবনের মানুষের আস্থা শীতলা মাতা পুজো । ছবিঃ শীতলা অষ্টমী ( প্রতিকী )
শেষ আপডেট: 3rd April 2024 13:08
সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং
মঙ্গলবার ছিল শীতলা অষ্টমী। বাসন্তীর নফরগঞ্জ অঞ্চলে মা শীতলা বন্দনায় মাতলেন গ্রামের মহিলারা। বিরিঞ্চিবাড়ি চালধোয়া গ্রামে এখন উৎসবের মেজাজ। মেলা বসেছে। সঙ্গে যাত্রাপালা, শীতলা গান, গাজন গান সহ বিভিন্ন পালা গানের আসর বসছে প্রতিদিন। চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
অতীতে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে তেমন কোনও ডাক্তার পাওয়া যেত না। রোগ-ব্যাধি হলে ওঝা, গুণিনের কাছে যেতে হত। তা না হলে অদৃষ্টের উপর ভরসা করে থাকতেন গ্রামের মানুষ। সেই সময় থেকে শীতলা দেবীর উপর অগাধ আস্থা তৈরি হয়েছিল বাসিন্দাদের মধ্যে। গ্রামে তাই প্রতিষ্ঠা করা হয় শীতলা মন্দির। সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা যেমন বনবিবির পুজো দিয়ে জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরতে যান, তেমনই হাম, বসন্ত, কলেরার মতো রোগব্যাধি সারাতে দেবী শীতলা মাতাই ছিলেন ভরসা।
বর্তমানে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি হলেও শীতলা দেবীর উপর আস্থা হারাননি মানুষ। তাই এখনও সেখানে শীতলা পুজো হয় ধুমধাম করে। এ বিষয়ে পুজো ও মেলা কমিটির সম্পাদক গুরুপদ ভঞ্জ বলেন, "বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে বিদ্যাধরী নদীর তীরে বিরিঞ্চিবাড়ি চালধোয়া গ্রামে ৬৯ বছর আগে তৎকালীন জমিদার নফর পাল চৌধুরীর উদ্যোগে শীতলা মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় এখানে ডাক্তার কবিরাজ ছিল না। ফলে গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ রোগ ব্যাধি নিরাময়ের জন্য দেবী শীতলার উপর ভরসা করত।" তিনি আরও বলেন, "এই পুজো ও মেলাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ঢল নামে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই গ্রামে। সব ধর্মের মেলবন্ধন ঘটে এই মেলায়।"