শেষ আপডেট: 25th March 2024 11:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই হাওয়া বদল। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান মার্কেটের ফের ‘দখল’ নিল তৃণমূল। বিজেপির পতাকা খুলে উড়ল শাসক দলের পতাকা।
কখনো বিজেপি, আবার কখনো আইএসএফ। গত কয়েকদিনে সন্দেশখালির এলাকা দখলে বারে বারে পট পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে। অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার পর সন্দেশখালিতে একের পর এক উলটপুরাণের ছবি দেখেছেন গ্রামবাসীরা। তবে দোলের আগে ফের শাহজাহানের মার্কেটে দলীয় পতাকা লাগাল তৃণমূল। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘সবই রাজনীতির খেলা’।
২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তৈরি হয় সন্দেশখালির এই মার্কেট। প্রায় ১ একর ১৫ শতক জায়গায় সংশ্লষ্ট মার্কেটটির জমি জোর করে দখল করা হয়েছিল, এমনই দাবি স্থানীয়দের একাংশের। নাম দেওয়া হয় ‘শেখ শাহাজাহান মার্কেট’। গত ৫ জানুয়ারি ইডি এই মার্কেটেও হানা দিয়েছিল। সেখানেই ৭-৮ দিন আগে তৃণমূলের পতাকা সরিয়ে বিজেপির দলীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। বিরোধীদের দাবি ছিল, শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর ভয়ে বিজেপির পতাকা লাগানো যেত না কোথাও। বিজেপি মিটিং-মিছিল করতে পারত না।
সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের নামাঙ্কিত ওই মার্কেটের ছাদ থেকে বাজারের ভিতরে জোড়া ফুল পতাকা টাঙানো হয়েছে। বিশাল মার্কেটের ভিতরে এবং বাইরে টাঙানো হয়েছে তৃণমূলের পতাকা। ফের রাজনৈতিক রং বদলের খেলায় তৃণমূলের পতাকা উড়ছে বলে মত ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। যা দেখে সন্দেশখালিতে তৃণমূলের সংগঠন এখনও অটুট বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
সন্দেশখালি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ২২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ইতিমধ্যে শেখ শাহাজান, আলমগির সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূলের দাপুটে নেতা সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। ইডির উপর হামলার ঘটনায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। এদিকে ভোটের আগে এলাকায় নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা যাতে না ছড়ায়, তাই সন্দেশখালি জুড়ে টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।