শেষ আপডেট: 1st April 2024 08:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার রাতে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আদালতের অনুমতি পেয়ে জেলে জেরার পরই সন্দেশখালির মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী এজেন্সি। আর তদন্তে নেমে একের পর এক নতুন তথ্য জানতে পারছে ইডি। সামনে আসছে শাহজাহানের নয়া কীর্তি।
নারী নির্যাতন থেকে জোর করে জমি হাতিয়ে নেওয়া সহ সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এবার সামনে এল নতুন অভিযোগ। জন্ম-মৃত্যুর জাল সার্টিফিকেট তৈরি করতেন শেখ শাহজাহান। যা বেকায়াদায় পড়া বহু যুবক-যুবতীদের সন্দেশখালির আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে দিতেন তিনি। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, পঞ্চায়েত প্রধান থাকাকালীন এই কাজ শুরু করেন শাহজাহান।
তদন্তকারীদের দাবি, প্রধান থাকাকালীন আগরহাটি পঞ্চায়েতকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছিলেন শাহজাহান। তাঁর ভয়ে সিঁটিয়েই থাকতেন সকলে। সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার উপর কথা বলার সাহস ছিল না কারো। ‘ভাই’-এর নির্দেশ মতোই বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কাজে মদত দিতে বাধ্য হতেন তাঁর অনুগামীরা।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানতে পেরেছে, আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হতো। যেখানে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে একটি প্যাড ছাপিয়েছিলেন শাহজাহান। কেউ জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে এলে ওই প্যাডেই তার নাম, বাবার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি লিখে স্বাক্ষর করে দিতেন শাহজাহান। যেখানে থাকত না কোনও সরকারি নম্বর। এমনকী, ওই সংক্রান্ত নথি সরকারিভাবে নথিভুক্ত রাখা হতো না। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কত জনের জন্ম বা মৃত্যু হয়েছে তা সরকার জানতেই পারত না। দশ বছর ধরে এভাবেই শাহজাহান নকল শংসাপত্র তৈরির কাজ চালিয়ে গিয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের খবর।
স্কুলে ভর্তি বা চাকরির ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেট জমা দিয়ে সন্দেশখালির বহু তরুণ-তরুণী সেগুলি জাল বলে জানতে পেরেছেন। শুধু তাই নয়, আকুঞ্জিপাড়ায় আশ্রয় নেওয়া বহু রোহিঙ্গাকেও জাল শংসাপত্র দিয়েছেন শাহজাহান, তদন্তে এমন তথ্যও উঠে এসেছে। কত জাল শংসাপত্র দিয়েছিলেন শাহজাহান, তার হিসেব নিচ্ছে ইডি। একইসঙ্গে ভেড়ি ব্যবসা থেকে হাতানো নগদ টাকা শাহজাহান কলকাতার কয়েকটি কোম্পানির ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। সেইসব কোম্পানির মালিকদের ডিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।