শেষ আপডেট: 27th August 2024 21:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে বাংলাদেশ হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর বক্তব্য, ওই দলের সভাপতি এখনও শেখ হাসিনা। দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করার অভিযোগে গণ বিক্ষোভের মুখে যিনি দেশ ছেড়েছেন। এমন অভিযোগে অভিযুক্ত কোনও দলের স্বীকৃতি থাকা উচিত নয়।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ওই আবেদন সরাসরি খারিজ করতে চেয়ে পাল্টা বক্তব্য পেশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মহম্মদ আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি রিট খারিজ চেয়ে আদালতে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা খর্ব করবে না সরকার।
তিনি আরও বলেন, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছেন মানুষ। সেই সব অপরাধের বিচারের জন্য আইন-আদালত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লিগের নেতা কর্মীরা রয়েছেন। তারা দলের নীতি আদর্শ ধারণ করেন।
অ্যাটর্নিজেনারেলের ওই বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কোনও কোনও মহল মনে করছে ইউনুস সরকার নিজেদের গণতান্ত্রিক প্রমাণে এই অবস্থান নিয়েছে।
তবে আওয়ামী লিগের একাংশের মত হল, এই সিদ্ধান্তের পিছনে অন্য ছক রয়েছে ইউনুস সরকারের। সদ্যই তারা জামাত ই ইসলামি র উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত ৩ অগাস্ট শেখ হাসিনা জামাত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লিগ নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে জামাত রাজনীতি করার অনুমতি পেলেও তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার নেই। হাই কোর্টের রায়ে তাদের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০১৮ সালে। গত বছর অগাস্টে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে। জামাত এর আগে কয়েক দফায় বিএনপির মন্ত্রিসভায় ছিল। বিএনপির সঙ্গে যৌথ আন্দোলনও করে থাকে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামাতের মামলায় ইউনুস সরকার তাদের নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ফিরিয়ে দেওয়ার আরজি জানানোর রাস্তা খোলা রাখল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার আর্জি খারিজ করে।