শেষ আপডেট: 15th August 2024 16:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বুক দিয়ে আগলে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন শান্তনু সেন। একইসঙ্গে দাবি করলেন সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
এদিন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, "ভারতবর্ষের একমাত্র অধ্যক্ষ, যাঁকে নিয়ে এত ঝড় তাঁকে কেন বুক দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করব? তাঁর জন্য যখন এত কিছু হচ্ছে, তখন তাঁকে কেন আটকাব? আগেও তদন্তের স্বার্থে সিবিআই অনেককেই ডেকে পাঠিয়েছে। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন আরজিকরের তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। আমরা চাইছি তদন্ত দ্রুত শেষ হোক, জনগণও চাইছে তদন্ত তরান্বিত হোক। আমি সিবিআইকে অনুরোধ করব, তদন্তের প্রয়োজনে সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক তারা।"
এর মাধ্যমে শান্তনু সেন পরোক্ষভাবে মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আন্দোলনের মুখে, সোমবার সকালেই পদত্যাগ করেছিলেন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বলেছিলেন, "আমি কোনও চাপের মুখে পদত্যাগ করছি না। আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার অভিঘাতে আমি বিপর্যস্ত। শুধু একজন শিক্ষক হিসেবে নয়, একজন বাবা হিসেবেও কিছুতেই এটা মানতে পারছি না।" একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মুখে কথা বসিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ রাজনৈতিক খেলায় নেমেছেন।
ওইদিনই নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, "উনি (সন্দীপ ঘোষ) জানিয়েছেন, মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। আরজিকরের প্রিন্সিপালের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চান। ওঁকে আমরা অন্য কোথাও পাঠাব।" একবেলার মধ্যে, সোমবার বিকেলেই তাঁকে বহাল করা হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষর পদে। তারপরেই অবশ্য হাইকোর্টের নির্দেশে ছুটিতে যেতে হয় সন্দীপ ঘোষকে।