সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল।
শেষ আপডেট: 15th September 2024 17:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সকাল ১০টায় ঘটনার খবর পেয়ে এফআইআর দায়ের ১৪ ঘণ্টা পরে! আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আগেই বিস্ময় প্রকাশ করেছিল সর্বোচ্চ আদালত।
নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত থেকে মৃতদেহ সৎকার- পুরো প্রক্রিয়ায় পুলিশ-হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে বারে বারে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী পডু়য়ারা। সন্ধে ৬টার পর কীভাবে ময়নাতদন্ত তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এবার এবিষয়ে শিয়ালদহ আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হল, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র! সন্দীপ ঘোষ-অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআইয়ের দাবি, শুধু দায়িত্বে গাফিলতিই নয়, তথ্যপ্রমাণ লোপাট থেকে ষড়যন্ত্র পুরো প্রক্রিয়াতে সন্দীপ-অভিজিৎ জড়িত। সিবিআইয়ের আবেদন মেনে এদিন ধৃত দু''জনকে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, কাদেরকে আড়াল করতে এই ষড়যন্ত্র তা খতিয়ে দেখতে সন্দীপ-অভিজিৎকে প্রথমে পৃথক পৃথক ভাবে জেরা করা হবে। পরে সত্যতা যাচাই করতে দু'জনকে মুখোমুখি জেরার ভাবনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে অনেক রহস্যের সমাধান হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত. ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের তরফে পরিবারকে যেভাবে অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ এবং সবশেষে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রথম থেকেই তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ছিলেন সন্দীপ। এমনকী মা-বাবা আসার পরেও দেহ দেখতে না দিয়ে কেন ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল, তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত, দেহ সৎকার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের ভূমিকাও।
নির্যাতিতার মা-বাবা এও বলেছিলেন, "আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু এত প্রেসার তৈরি করা হয়েছিল। বাড়ির বাইরে চারশো পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। বাধ্য হয়েছিলাম সৎকার করতে।" এমনকী পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগও এনেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। তার আগে দুই অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে
সিবিআই ম্যারাথন জেরার পথে হাঁটতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এর আগে আরজি করের দুর্নীতি মামলায় ১৪ দিনে সন্দীপ ঘোষকে প্রায় ১৯৩ ঘণ্টা জেরা করেছেন তদন্তকারীরা।